ঢাকা ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাঁবিপ্রবিতে পিঠা উৎসব

চাঁবিপ্রবিতে পিঠা উৎসব

ঋতুর রঙে মিশুক ঐতিহ্যের স্বাদ, প্রাণের মেলায় জ্বলুক জ্ঞানের প্রদীপবাদ- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চাঁবিপ্রবি) প্রথমবারের মত বর্ণাঢ্য বইমেলা, শীতের আলাপন ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উৎসব শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা ও আনন্দের সঞ্চার করেছে। গতকাল বুধবার চাঁবিপ্রবি প্রাঙ্গণে ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. পেয়ার আহম্মেদ। উদ্বোধন শেষে তিনি পিঠা ও বইয়ের স্টল পরিদর্শন করেন এবং দেড় শতাধিক অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. পেয়ার আহম্মেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, এই বইমেলা ও উৎসব আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি করবে এবং আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে আরো শক্তিশালী করবে। ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন নিয়মিতভাবে হবে বলে আমি আশা করি। তিনি আরো বলেন, এই আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয় এবং মিলনমেলায় পরিণত হয়। আয়োজনটি শুধুমাত্র জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং এটি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মিলনমঞ্চ হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি ও মননশীল চর্চাকে আরও উৎসাহিত করবে বলে আশা করা যায়। পিঠা উৎসবে বাহারী পিঠা প্রদর্শনীর আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বিভাগ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি এবং ব্যবসায় প্রশাসনের শিক্ষার্থীরা। দিনব্যাপী পিঠা মেলার পাশাপাশি বই মেলার আয়োজন করা হয়।

ইতিহাস ঐতিহ্যের নানা বিষয়ে ফুটে উঠে স্টলগুলোতে। স্টলগুলোর মধ্যে ছিল মৌ-পুলি, ইঞ্জিনিয়ারিং পিঠা ঘর, বাণিজ্য পিঠা ঘর, ঢেঁকির বৈঠকশালা, পিড়া যাবে পেটুকবাড়ি, কোডার বাইটস, পিঠার আড্ডা। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নামে একাধিক স্টল স্থাপন করা হয়।

পিঠা উৎসবে জনপ্রিয় পিঠাপুলির মধ্যে ছিল- মুগ পাকন, নারিকেল নাড়ু, মতিচুর, শামুক পিঠা, বুটের বরফি, ক্ষীর পাটিসাপটা, লাড্ডু, অন্নদা, পুডিং, জামাই পিঠা, বউ সুন্দরী পিঠা, ভাজা পুলি, চমশম পিঠা, নুনের পিঠা, গাজরের পিঠাসহ বিভিন্ন বাহারি রকমরে পিঠার আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা। পিঠা উৎসব বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক খাদিজা খাতুন টুম্পা ও সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ সবুজ, বইমেলা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজ আহমেদ ও সদস্য সচিব জারাফাত ইসলাম, শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী সাজ্জাদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব নাসিম উদ্দিনসহ তিন বিভাগের সম্মানিত চেয়ারম্যানমণ্ডলী, শিক্ষকগণ, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সকল কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিযোগিদের মধ্যে একটি স্টলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। এছাড়া সব স্টলের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুরষ্কারের ব্যবস্থা করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত