চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামে ডিম বিক্রেতার কাছে ডিম কিনতে গিয়ে ১১ বছর বয়সী এক কণ্যা শিশু শ্লীলতাহানির স্বীকার হয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই শিশুটির পরিবারের লোকজন অভিযুক্ত ফেরিওয়ালা ডিম বিক্রেতা জিল্লুর রহমান জিল্লুকে (৩১) আটক করে পুলিশে দিয়েছে। অভিযুক্ত ডিম বিক্রেতা পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার চরকুড়ুলিয়া গ্রামের মল্লিক পাড়ার খালেক মল্লিকের ছেলে।
এ ঘটনায় ঘটনায গত বৃহস্পতিবার রাতেই ভুক্তভোগী শিশুটির পিতা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ডিম বিক্রেতার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। থানা পুলিশ ও বাদীর এজাহার সূত্রে জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার চরকুড়ুলিয়া গ্রামের মল্লিক পাড়ার আব্দুল খালেক মল্লিকের ছেলে জিল্লুর রহমান জিল্লু ফেরি করে দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামে ডিম বিক্রি করতে যান। এ সময় একই গ্রামের জৈনেক চান্দু মিয়ার ১০বছর বয়সী কন্যা শিশু ডিম কিনতে গেলে ডিম বিক্রেতা অভিযুক্ত জিল্লু শিশুটিকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। শিশুটি ভয়ে পালিয়ে এসে ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের কে জানাই। শিশুটির পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা ডিম বিক্রেতাকে গণধোলাইয়ের পর থানা পুলিশ হেফাজতে তুলে দেন। এদিন রাতেই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ডিম বিক্রেতার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফেরিওয়ালা ডিম বিক্রেতা পুরাতন বাস্তপুর গ্রামে ডিম বিক্রি করতে গেলে শিশুটি অভিযুক্ত ডিম বিক্রেতার নিকট ডিম কিনতে যায়। এ সময় ডিম বিক্রেতা শিশুটিকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। শিশুটি পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘটনার বিষয়ে পিতা, মাতা কে অবগত করেন। এরপর শিশুটির পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা ডিম বিক্রেতা জিল্লুর রহমান জিল্লু কে আটক করে পুলিশে খবর দেন। তাৎক্ষণিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত ডিম বিক্রেতাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার জিল্লুরকে সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।