সারি সারি তাল গাছে সবুজের আবরণ
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এইচএম ইমরান, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের পরিবেশপ্রেমী ও ‘গাছপাগল’ নামে পরিচিত জহির রায়হান দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। গাছ লাগানো, পাখি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণসহ বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যম তিনি প্রকৃতির প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করছেন। বজ্রপাত প্রতিরোধে এক নতুন উদ্যোগ নেন তিনি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তালবীজ রােপণ করেছেন, যা বজ্রপাত কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানা যায়, গত কয়েক বছর তিনি সদর উপজেলার আঠারো মাইল থেকে সাহেব বাজার, কৃষ্ণপুর থেকে বেতাই, নগরবাথান থেকে ডেফলবাড়ীয়া সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে অন্তত ১৫ হাজার তালবীজ রোপণ করেছেন। তার এই প্রচেষ্টায় এরই মধ্যে অনেক গাছ বড় হয়ে উঠেছে এবং এলাকায় সবুজের আবরণ সৃষ্টি হয়েছে।
সদর উপজলার গান্না গ্রামের লিটন মাহমুদ বলেন, জহির রায়হানের মতো আমাদের প্রত্যেককেই পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। বজ্রপাত প্রতিরোধে তালগাছ বেশি করে লাগানাের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। তবেই আমরা প্রকৃতির ভয়াবহতা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবো এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযােগ্য পৃথিবী রেখে যেতে পারবো। কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হারুন-অর রশীদ বলেন, জহির রায়হান শুধু তালবীজই রোপণ করেননি, তিনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় খেজুর গাছ, আম, জাম, বাবলাসহ নানা জাতের গাছের চারা রোপণ করেছেন। তার এই উদ্যোগ আমরা সবাই গ্রহণ করলে পরিবেশটা আরও সুন্দর হত। এ বিষয়ে জহির রায়হান বলেন, প্রতি বছর বজ্রপাতে বহু মানুষ মারা যায়। বজ্রপাত থেকে মানুষের জীবন রক্ষা করতেই তালবীজ রোপণের উদ্যাগ নিয়েছি। স্থানীয়রাও এতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, যা আমাকে আরও উৎসাহিত করছে। এরই মধ্যে অনেক গাছ বড় হয়ে ছায়া দিতে শুরু করেছে। রাস্তার দুই ধার সবুজে সমারোহ হওয়ায় অনেকে এই রাস্তায় ঘুরতেও আসেন। ঝিনাইদহ সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, বজ্রপাত বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। সাম্প্রতিক বছরগুলােতে বজ্রপাতে প্রাণহানি বেড়েছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, তাল, নারকেল, সুপারি ও খেজুরগাছ বজ্রপাত প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।