ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সেতুর কাজ শেষ না করেই উধাও ঠিকাদার

৫০ হাজার লোকের ভোগান্তি
সেতুর কাজ শেষ না করেই উধাও ঠিকাদার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রসুলাবাদ ও শিকানিকা গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীতে সেতুর কাজ শেষ না করেই ঠিকাদার উধাও হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির অধীনে যমুনা নদীর উপর ৮১ মিটার সেতু নির্মাণের জন্য ৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।

দরপত্র অনুযায়ী সেতুটি নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইউনুছ আল মামুন ও মেসার্স জাকির এন্টার প্রাইজকে ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালে ৪ জুলাই পর্যন্ত ৫৪০ দিনের মধ্যে কাজটি শেষ করতে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। দেড় বছরে মধ্যে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুর দুপারে সামান্য পাইলিংয়ের কাজ শেষ করেই প্রায় ৮ মাস পূর্বে বাকি কাজ ফেলে পালিয়ে যান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন।

যার ফলে প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়াই চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এ রাস্তায় চলাচলকারী রসুল্লাবাদ, সাতমোড়া, জিনদপুর, ইব্রাহীমপুর ও লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক সাধারণ মানুষ।

সরজমিনে দেখা যায়, যমুনা নদীর উপর সেতুর দুই পাড়ে সামান্য পাইলিং করা হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয়দের উদ্যোগে সেতুর পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে, যেটা দিয়ে এলাকাবাসী ও পথচারীরা পারাপার হয়। স্থানীয় দোকানদার সবুজ মিয়া বলেন, একটি সেতু না হওয়ায় আমাদের দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

পথচারী কয়েছ আহমেদ বেপারী জানান, নদীর ওপর সেতু না থাকায় মানুষের যে কষ্ট তা বলে বোঝানো যাবে না। রসুল্লাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন বলেন, পুনরায় দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার দিয়ে সেতুর কাজটি দ্রুত শুরু করা দরকার। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

নবীনগর উপজেলার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব হোসেন জানান, দরপত্রের চুক্তির শর্ত না মানায় পূর্বের ঠিকাদারদের সঙ্গে কার্যাদেশ বাতিল প্রক্রিয়াধীন। নতুন করে রি-টেন্ডার করে অচিরেই সেতুটির কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান। দ্রুত সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ করে ভোগান্তি নিরসনের দাবি এ এলাকার সাধারণ মানুষ ও পথচারীদের।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত