মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চরে ডাকাত সন্দেহে চার ব্যক্তিকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছুরি, চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। গত রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গতকাল ভোরে এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বরে একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে চারজন ব্যক্তি নামেন। এ সময় তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয়রা তাদের নাম পরিচয় জানতে চান। এক পর্যায়ে চার আগুন্তকের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা মনে হয় স্থানীয়দের। এর পর উত্তেজিত হয়ে চারজনের একজন হঠাৎ করেই ছুরি বের করে আঘাত করার চেষ্টা করে। এ সময় আশপাশের লোকজন চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে আটক করে ফেলে চারজনকে। পরে ৪ জনকে গণপিটুনি দেয়। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটককৃতরা হলো, বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাটের কাচনা এলাকার মৃত সিরাজ মীরের ছেলে সোহরাব মীর (২৫), নুরু মীরের ছেলে মেহেদী মীর (২৪), ভান্ডারখোলা এলাকার মৃত শাহজাহান শেখের ছেলে বশির শেখ (২৮) এবং নগরকান্দি এলাকার কবির শেখের ছেলে রাজু শেখ (২৮)। স্থানীয় রাকিব নামে এক যুবক বলেন- অ্যাম্বুলেন্সে করে এরা পাঁচ্চর গোলচত্বরে আসে। চারজন বের হলে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে তারা।
এ সময় লোকজন চলে এলে পালিয়ে যেতে পারেনি। তবে অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ে ওই সময় অন্যরা পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সে আরও ডাকাত সদস্য ছিল। দেশীয় অস্ত্রও থাকতে পারে।
শিবচর থানার ওসি রতন শেখ বলেন, অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ডাকাতদল ডাকাতি করতে আসছে সন্দেহে স্থানীয় জনসাধারণ গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে ডিউটিরত এসআই সালাউদ্দিন ও এসআই মিরাজসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে। তাদের কাছ থেকে ছুরি জব্দ করা হয়। আহতাবস্থায় চারজনকে পুলিশ হেফাজতে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।