পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় একটি ডাকাতিসহ হত্যা মামলায় পাঁচ জনকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
গতকাল সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোক্তাগীর আলম এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ভান্ডারিয়ার শিয়ালকাঠী গ্রামের সুলতান হাওলাদারের পুত্র আ. সালাম হাওলাদার, মহব্বত আলী মাঝির পুত্র আলমগীর মাঝি, আ. আজিজ ছেনু হাওলাদারের পুত্র আ. মালেক হাওলাদার, আ. মজিদ মোল্লার পুত্র মো. ফিরোজ মোল্লা এবং আলফাজ হাওলাদারের পুত্র আইয়ুব আলী হাওলাদার। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ওমান ফরাজী, মিল্লাত হোসেন মিলু, জাকির খলিফা, ফয়সাল, হেমায়েত হাওলাদার, মাসুম মৃধা ও মাসুদ মৃধা এই ৭ জনকে খালাস দিয়েছেন। রায় ঘোষনাকালে ৬ জন আসামি অনুপস্থিত ছিলেন। মামলার বিবরণে জানাযায়, উপজেলার ভান্ডারিয়ার কাপালীরহাটে নুর মোহাম্মদ আকনের পুত্র মো. রফিকুল তার মুদি ও সাইকেল পার্সের দোকানে ঘটনারদিন ২০০৫ সালের ২মার্চ দিনগত রাত ১০টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন।
রাত ২টার পর হটাৎ দোকান ভাঙার শব্দে ঘুম ভেঙে গেলে উঠে বৈদ্যুতিক লাইট জ্বালিয়ে দেখেন ১০/১২জন ডাকাত দলের সদস্যের মধ্যে ৩ জন দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙে নগদ ১২ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ সময়ে রকিবুল ডাকচিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে ডাকাতদের গুলিতে স্থানীয় আব্দুস ছামাদের পুত্র মিজানুর রহমান পেটে গুলি বিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতাল এবং এর পর বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসা চলাকালে মারা যান। এ ঘটনায় রকিুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা (ভান্ডারিয়া থানা মামলা নং-০৩, জিআর ৭৮/০৫, ধারা ৩৯৬ দঃবিঃ) করলে পুলিশ ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মো. ওয়াহিদ হাসান বাবু এবং আসামি পক্ষে অ্যাড. আহসানুল কবীর বাদল মামলাটি পরিচালনা করেন।