ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উচ্চ ফলনশীল জাতের বাদাম চাষ বাড়ছে

উচ্চ ফলনশীল জাতের বাদাম চাষ বাড়ছে

দাগনভূঞা উপজেলায় এ বছর বাদামের ফলন হয়েছে। এবারের মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় বাদাম চাষ করে ভালো ফলন পাওয়ার আশা কৃষকদের। প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলায় আবাদ হয়েছে উচ্চফলনশীল জাতের চীনা বাদাম। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৭ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হেক্টর। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ বেশি হয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার রামনগর ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার জগতপুর গ্রামে বাদাম প্লটে দেখা গেছে, কৃষকরা জমিতে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কৃষক শাহজাহান ৩০শতক, লিয়াকত আলী-২০, সিরাজ উল্যাহ ১০ এবং পৌর এলাকার জগতপুর গ্রামের কৃষক আমির হোসেন-৪০ শতক ও আবু সুফিয়ান ১৫ শতক জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বাদাম চাষ করেছেন। এছাড়াও এছাড়াও উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক বাদাম চাষ করেছেন।

রামনগরের কৃষক শাহজাহানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ৩০ শতক জমিতে কাশিমপুরী চিনাবাদাম আবাদ করেছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের উৎসাহে প্রথমবারের মতোবাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন তিনি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন হবে। একই গ্রামের কৃষক লিয়াকত আলী বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় চীনা বাদাম করেছি। এবার চীনা বাদামের অনেক চাহিদা রয়েছে। অল্প খরচে বাদাম চাষে লাভ বেশি। জমিতেবাদামের ফলন দেখে অনেক কৃষক আগামীতে বীজ নেয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। রামনগর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সফিক উল্যাহ বলেন, সরেজমিনে মাঠে গিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

পৌরসভা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, উচ্চফলনশীল জাতের বাদাম করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগীয় কৃষকদের বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. কামরুজ্জামান বলেন, চীনাবাদাম একটি স্বল্পমেয়াদি অর্থকরী ফসল। গত বছরের তুলনায় এবার অত্র উপজেলায় চীনা বাদামের আবাদ বেড়েছে। এটি একটি উৎকৃষ্ট ভোজ্য তেলবীজ। চীনা বাদামের ফুল মাটির উপরে ফুটলেও গর্ভাশয়ের নিচের যে বৃন্তটি শুঁটি গঠন করে, সেটি মাটির নিচে চলে যায় এবং সেখানে পুষ্ট হয়ে বাদামে পরিণত হয়। হাল্কা, ঝরঝরে দোআাঁশ মাটিতে বাদাম চাষ করা উচিত। ফলে চীনা বাদাম চাষাবাদে খরচ কম হওয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে চীনাবাদামের ফলন বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত