ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গাইবান্ধায় ঈদের বাজার জমে উঠেছে

গাইবান্ধায় ঈদের বাজার জমে উঠেছে

ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে গাইবান্ধার মার্কেটগুলো। অনেক এরই মধ্যে সেরে ফেলেছেন কেনাকাটা।

তবে বিপণী বিতানগুলোতে সবে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদের কেনাকাটা। এবারে ভারতীয় কাপড়ের চাহিদা থাকলেও ক্রেতারা দেশি কাপড়ের দিকে ঝুঁকছেন বলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুত্রে জানা গেছে। পুরুষ ক্রেতাদের চেয়ে মহিলাদের সংখ্যাই বেশি। সরেজমিনে দেখা যায়, গাইবান্ধার শহরের সু-ফ্যাশান ও সুপার মার্কেটের কাপড়ের দোকানগুলোতে সন্ধ্যার পরে ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয়। ক্রেতারা বলেছেন, গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি হলেও ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠতে শুরু করেছে বাজার। তবে ব্যবসায়িরা জানায়, কেনাকাটা শুরু হয়েছে ১৫ রোজার পর থেকে। এবার ভারতীয় কাপড়গুলোতে পেছনে ফেলে বাজার দখল করেছে দেশীয় সুতি কাপড়। গরমের কারণে দেশি সুতি থ্রি পিসগুলো সবার পছন্দ ও বিক্রির শীর্ষে রয়েছে। সমানতালে বিক্রি হচ্ছে ইন্ডিয়ান গাউন ও কাজ করা লং ফ্রোক।

এছাড়া শিশুদের হরেক রকম পোশাকও বিক্রি হচ্ছে বেশি। তবে শিশুদের পোশাকের দাম অপেক্ষাকৃত বেশি। এছাড়াও জিন্স প্যান্ট, গ্যাবার্ডিন প্যান্টের পাশাপাশি কালার শার্ট ফুলশার্ট, চেক শার্ট, এক কালার শার্ট রয়েছে পছন্দের তালিকায়। টপ, স্কার্ট, ফ্রকও রয়েছে ছোটদের পছন্দের তালিকা। হরেক রকমের বর্ণালী পাঞ্জাবির চাহিদাই এবার সর্বাধিক। এক রংয়ের বা সাদা পাঞ্জাবির দিকে নজরই দিচ্ছে না ক্রেতারা। ফালিমার সুপার মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী মানিক বলেন এবারে সুতি কটনের বিভিন্ন ডিজাইন এর জামার উপর চাহিদা দেখাচ্ছে গ্রাহকরা। জুতার দোকানগুলোতেও ব্যাপক ভীড় বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে স্টেশন রোডের সু-প্যালেসে অন্যান্য দোকানগুলোর চেয়ে এখানে কিছুটা বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

স্টেশন রোডের সু-প্যালেসের স্বত্ত্বাধিকারী সোহাগ মৃধা বলেন, ক্রেতার চাহিদা অনুসারে আমরা উন্নতমানের জুতা ও স্যান্ডেল বিক্রি করছি। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে ক্রমেই ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। এবারের ঈদে বেচাকেনা ভালো হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত