অনুমোদনের পাঁচ বছর পরও অনার্স কোর্স চালু হয়নি চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজে। শিক্ষক সংকটে বিঘ্ন ঘটছে নিয়মিত পাঠদানে। রয়েছে একাডেমিক সংকট। বাধ্য হয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা চলে যাচ্ছেন অন্যান্য জেলা শহর ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি ১৯৮৭ সালের ১৬ জুলাই সরকারিকরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত হয়নি ছাত্রাবাস, চালু হয়নি পরিবহন ব্যবস্থা। রয়েছে কর্মচারী সংকট। ঝাড়ুদার না থাকায় অপরিচ্ছন্ন কলেজ প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন সংকটে কমছে শিক্ষার্থী। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার ও উপজেলা পরিষদের মাঝামাঝি অবস্থিত চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজ। ১টি একাডেমিক ভবন, ১টি প্রশাসনিক ভবন, পরিত্যাক্ত ১টি ভবন ও ১টি মসজিদ নিয়ে এই কলেজ। কলেজের প্রশাসনিক ভবনের ৩য় তলায় শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ১০ হাজার বই নিয়ে একটি বড় পাঠাগার। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতকে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখায় পাঠদান করা হয়। উচ্চমাধ্যমিকে আসনসংখ্যা ১১৭৫, স্নাতকে ৩০০। তারমধ্যে চলতি শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছে ৯২৬ জন ও স্নাতকে ১৫৬ জন। গত সেশনে উচ্চমাধ্যমিকে পাসের হার ৬৮ পার্সেন্ট ও স্নাতকে শতভাগ। তবে প্রয়োজনীয় শিক্ষকের অভাবে উচ্চ মাধ্যমিকে ফলাফল সন্তোষজনক নয়। ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সরকারি কলেজ শাখা-৪-এর উপসচিব মুর্শিদা শারমিন এক চিঠির মাধ্যমে কলেজে বাংলা, ইংরেজি, রাষ্ট্র বিজ্ঞান, সমাজকল্যাণ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনাসহ সাতটি বিষয়ে অনার্স কোর্সের অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু বিগত আওয়ামী সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভোকেশনাল ও কারিগরি শিক্ষাকে উৎসাহিত ও অনার্স কোর্সকে নিরুৎসাহিত করার নীতিতে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পরও অনার্স কোর্স চালুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়পত্র মেলেনি।