ফেনীতে ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ওঠেছে। তার ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে একজন মাদ্রাসা ছাত্র দুই চোখ হারানোর পথে এবং জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। এই ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার ফেনীর আদালতে ভুক্তভোগী ছাত্রের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক হাকিম অপরাজিতা দাশ ফেনীর সিভিল সার্জনকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসা ছাত্র আরাফাত হোসেন (১২) এর চোখ থেকে পানি বের হওয়ায়। গত ৩১ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর ফেনী আই সেন্টার চেম্বারে নেয়। ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশন মতো ওষুধ খাওয়ানোর পর শিশুটি সারা শরীর জ্বালা পোড়া শুরু হয় এবং খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। পরবর্তীতে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ফেনীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিলে চিকিৎসক জানায় ভুল চিকিৎসার কারণে এই অবস্থা হয়েছে এবং দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার করেন। ঢাকা মেডিকেলে প্রায় ১০ দিন ভর্তি ছিল। বর্তমানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্র আরাফাত হোসেন এর মা বকুল চৌধুরী অভিযোগ করেন, ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর ভুল চিকিৎসায় আমার পিতৃহীন ছেলে আজ দুই চোখ হারানোর পথে এবং জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ফেনী কোর্টের এপিপি হুমায়ুন কবির বাদল জানায়, একজন চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় শিশু আরাফাতে দৃষ্টি শক্তি চিরতরে নষ্ট হওয়ার পথে এবং জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। চিকিৎসার নামে যারা অপচিকিৎসা চালান ডাক্তার নামে এ সব দুর্বৃত্তদের শাস্তি চাই। তিনি আরো জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ফেনীর সিভিল সার্জনকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দেন। ফেনীর সিভিল সার্জন রুবাইয়েত বিন করিম জানান, আদালতের লিখিতভাবে আদেশ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্ত ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন- যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে সেহেতু আমি আইনি জবাব দেবো।