শ্যামনগরের দুর্গাবাটি এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর বাঁধে ৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে জাইকার অর্থায়নে ব্লক সংযোজনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। জানা যায়, প্রতিবছর উপকূলীয় জনপদ সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রাম পোড়াকাটলা, দুর্গাবাটি, বুড়িগোয়ালিনী নদীভাঙনের মুখে পড়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়। ভেঙে পড়ে কাঁচাপাকা ঘরবাড়ি, ভেসে যায় কয়েক হাজার চিংড়িঘের, মরে যায় গরু-ছাগল, হাঁস- মুরগি, গাছ-গাছালি। জাইকার অর্থয়নে নৌবাহিনীর পরিচালনায় আড়াই কিলোমিটার ব্যাপী বাধের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৯৭ কোটি টাকা যার দায়িত্ব ঠিকাদারীর পেয়েছে আর রাশাদ কর্পোরেশন কাজটি শুরু হয়েছে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে।
শেষ হবে ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে। এলাকা ঘুরে দেখাযায়- দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে চলছে ৬-৭ শত শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদার সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় কয়েকজন ১২ লাখ টাকা দাবির কারণে কাজ কিছুদিন বন্ধ ছিল। আমি সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। এছাড়া অধিনায়ক সেনাবাহিনীর সাতক্ষীরাও শ্যামনগর, ব্যাবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর চাঁদাবাজরা এদিকে আর না আসার সুযোগে নতুন করে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এরই মধ্যে জাইকা ও পাউবোর প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনের সময় ছিলেন প্রজেক্ট ড্রিরেকটর আরিফুল হাসান ভুইয়া, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী একৌশলী মো: সালাউদ্দীন, জাইকার কনসালটেন্ট আব্দুল মালেক। কাজ দ্রুত এগিয়ে চলায় প্রতিনিধি দল সন্তোষ প্রকাশ করছেন বলে ঠিকাদার সবুজ খান জানান।
বাঁধসংলগ্ন বসতিদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, কাজ যেভাবে চলছে তাতে মনে হয়, যথা সময়ে শেষ হবে। বাঁধসংলগ্ন বসবাসরত সাবেক মেম্বার নীলকান্ত রপ্তান বলেন, প্রতি বছরই বাধ ভেঙে এলাকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্লক সংযোজন হলে হয়ত ভাঙনের কবল থেকে মুক্তি পাব।
সমাজসেবক আইউব আলী বলেন বাঁধের ভাঙন রক্ষার্থে এবার ব্লক দেয়া হচ্ছে এবার আর ভাঙার সম্ভাবনা নেই। পাউবো কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন বলেন, দ্রুত কাজ চলছে আমরা সঠিকভাবে কাজ তদারকি করছি। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি খাতুন বলেন, ব্লক সংযোজনের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে।