কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তেল ও ডাল জাত ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক হাজার ২৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় খরিপ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও তিল ফসলের বীজ ও সার বিতরণের আয়োজন করে উপজেলা কৃষি কার্যালয়। বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ অন্ষ্ঠুানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মিকাইল ইসলাম। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসম উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তিল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক হাজার ২০০ জন প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে এক কেজি করে বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়। এছাড়াও মুগ ডালের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য ৫০ জন কৃষক বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষক ৫ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার পেয়েছেন। এদিকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে ভিষণ খুশি কৃষকরা। এ বিষয় চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ কৃষক কামাল হোসেন বলেন, টাকা ছাড়াই ৫ কেজি মুগের বীজ, ৫ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দিয়েছেন সরকার।
দেড় বিঘা জমিতে চাষ করব। এভাবে বিনামূল্য বীজ-সার পেলে ভবিষ্যতে এ চাষ বৃদ্ধি করার প্রত্যাশা তার। জগন্নাথপুর ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক শফিকুল মন্ডল বলেন, দিন দিন তেলের দাম বাড়ছে। সে জন্য তিল ফসলের চাষ করব। সরকারিভাবে এক কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার পেয়েছি। এতে আমরা খুব খুশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলাম জানান, তেল ও ডাল জাত ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক হাজার ২৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।