ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার খড়মপুরে তিতাস নদীর পাড়ে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শাহ পীর গেছুদারাজ কল্লা শহীদের মাজারের পাশেই সোনালি রঙের এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটির বয়স প্রায় ১১০৫ বছর।
মসজিদটি যেন কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এখনো। তবে মসজিদের নির্মাণ সাল নিয়ে যথেষ্ট মতপার্থক্য রয়েছে। মসজিদের দেয়ালে লেখা রয়েছে সন ৩২৩ ত্রিপুরা। ‘তিপ্রা’ বা ‘ত্রিপুরা’ সন বঙ্গাব্দ অর্থাৎ বাংলা সন সূচনার তিন বছর আগের। মসজিদে সনের সঙ্গেই লেখা থাকা ‘ত্রিপুরা’ হলো অঞ্চলের নাম। এক সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অধীনে ছিল এ আখাউড়া এলাকা। যে কারণে মসজিদের স্থাপনা সনের সঙ্গে ত্রিপুরা লেখা আছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। মসজিদটির গম্বুজটি বেশ সুন্দরভাবে সোনালি রঙ দিয়ে মুজাইক করা। চুন-সুরকির দেয়ালে আছে হালকা কারুকাজ। মসজিদের গায়ে লেখা থাকা সন ৩২৩ লেখা থেকেই এর নির্মাণ সম্পর্কে ধারণা দেন স্থানীয়রা। মসজিদটি হাজার বছরের পুরোনো বলেই তারা একমত পোষণ করেন।
প্রকাশ আছে ১৩০৩ সালে হযরত শাহজালাল (র.) ইসলাম প্রচার করতে ৩৬৯ জন আউলিয়া নিয়ে সিলেটে আসেন। হযরত শাহজালালের অন্যতম অনুসারী ছিলেন সৈয়দ আহমেদ গেছুদারাজ বা শাহপীর কল্লা শাহ। অনুমান করা হয়, এক যুদ্ধে শহিদ হওয়া গেছুদারাজের মাথা তিতাস নদীর স্রোতে ভেসে খড়মপুর আসে। খড়মপুরেই গেছুদারাজের মাথা দাফন করা হয়। খড়মপুর মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টু বলেন, মসজিদটি প্রায় হাজার বছরের পুরোনো, যা আমাদের পূর্ব-পুরুষরাও আমাদের বলে গিয়েছেন। এই মসজিদটি এখন আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।