পরিবেশের ছাড়পত্র ব্যতীত হিমাগার পরিচালনা করায় ৮ হিমাগারকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম। গত শনিবার সদর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বিভিন্ন হিমাগারে অভিযান চালান পরিবেশের স্পেশাল পরিচালিত মোবাইল কোর্ট। এ সময় পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকায় সদর উপজেলার মুক্তারপুর অবস্থিত এলাইড কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার আতাউল, একই এলাকায় অবস্থিত বিভারভিউ কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার রেজাউল করিম, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেতকা বাজারের এ্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ এন্ড কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার রাকিবুল হাসান দৌলত, একই এলাকার আরাকান ইন্ডাস্ট্রিজ লি: বেতকা কোল্ড ষ্টোরেজ ম্যানেজার জি.এম জাকারিয়া, উপজেলার বিন্দুসার সলিমাবাদ এলাকায় অবস্থিত পপুলার ফুড এন্ড এলাইড ইন্ডাস্ট্রিজ ম্যানেজার মীর আনোয়ার হোসেন, মুক্তারপুর অবস্থিত বিক্রমপুর মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার আব্দুর রসিদ শেখ, আব্দুল্লাহপুর সলিমাবাদ এলাকার রামিশা কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড ম্যানেজার ইমরান হাসান নাদিম, মিরেশ্বরাই এলাকার নিপ্পন আইস এন্ড স্টোরেজ ম্যানেজার মনোরঞ্জন সাহা প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে ৮ হিমাগারকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এতে ৫টি হিমাগারের ম্যানেজার ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করলেও এলাইড কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার আতাউল, রিভারভিউ কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার রেজাউল করিম, এ্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ এন্ড কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার রাকিবুল হাসান দৌলত জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৪০ দিনের সাজা পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন পরিবেশের মোবাইল কোর্ট পরিচালিত স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট মো. সানোয়ার হোসেন এবং মুন্সীগঞ্জ পুলিশের একটি বিশেষ টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশের (ভারপ্রাপ্ত) বেঞ্চ সহকারী জাকির হোসেন জানান, মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বিভিন্ন হিমাগারে পরিবেশের স্পেশাল পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৮টি হিমাগারকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এতে ৫টি হিমাগারের টাকা পরিশোধ করলে ও ৩টি হিমাগারের ম্যানেজার অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ না করায় তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৪০ দিনের করে সাজা পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে, পরিবেশের স্পেশাল মোবাইল কোর্ট পরিচালিত বিচারক।