বগুড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের জন্য ঈদের কেনাকাটার অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছে ফুটপাতে বসা ভ্রাম্যমাণ দোকান। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বিশেষ করে সাতমাথা, নবাববাড়ি রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় জমে উঠেছে ফুটপাতে কাপড়ের ব্যবসা। কম দামে পোশাক কিনতে প্রতিদিনই সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। ফুটপাতের দোকানে পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে, আর শার্ট বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়। এ ছাড়া শিশুদের পোশাক, থ্রি-পিস ও অন্যান্য পোশাকও তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
কাপড় কিনতে আসা রফিক মিয়া বলেন, মার্কেটে এসব পোশাকের দাম অনেক বেশি। তাই আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষরা ফুটপাতে কম দামে ভালো কাপড় খুঁজতে আসে। এখানে দরদাম করে সুবিধামতো কিনতে পারি।
তিনি আরও বলেন, বাচ্চাদের জন্য ঈদের নতুন জামা-কাপড় এখান থেকেই নেই সবসময়। এখানে কাপড়ের দাম কম, ঈদের আগে ভিড় একটু বেশি থাকে। তাই এখনই নিয়ে রাখতেছি।
বিক্রেতা হালিম জানান, আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আমরা সামান্য লাভ রেখে কম দামে কাপড় বিক্রি করছি, যাতে সাধারণ মানুষ স্বল্প খরচে নতুন জামা কিনতে পারে।
আল আমিন বলেন, মার্কেটের কাপড় আর আমাদের কাপড়ের মধ্যে তেমন পার্থক্য নাই। আমাদের দোকান ভাড়া নাই, এসি খরচ নাই, লাইট খরচ নাই, তাই আমরা কম দামে বিক্রি করছি। আরেক বিক্রেতা হাদি বলেন, আমরা গার্মেন্টস থেকে সরাসরি কাপড় এনে বিক্রি করি, তাই দাম কম রাখতে পারি। ঈদের সময় বিক্রি ভালো হয়, তাই লাভও কিছুটা বেশি হয়।
ক্রেতারা জানান, তুলনামূলক কম দামের কারণে ফুটপাতে কেনাকাটার প্রতি তাদের আগ্রহ বেশি। তবে ফুটপাতে কেনাকাটার ক্ষেত্রে মানের দিকটিও বিবেচনায় রাখতে হয়। রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোকে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ‘আশীর্বাদ’ মনে করেন শাজাহানপুরের মাঝিড়া এলাকার বাসিন্দা জমির উদ্দিন। তিনি জানান, জরুরি এক কাজে শহরে এসেছিলাম। বাড়ি ফেরার পথে ফুটপাত থেকেই সেরে নিচ্ছেন ঈদের কেনাকাটা।