নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটের কারণে ২ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য সেবা।
এ যেন হ য ব র ল অবস্থা। একটু জরুরি রোগী হলেই তারা পাঠিয়ে দিচ্ছে নওগাঁ সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে প্রায় ৩ মাস ধরে সিজারসহ নানা ধরনের ছোট খাটো অপারেশন বন্ধ রয়েছে। প্রায় ২ লাখ মানুষের চিকিৎসা সুবিধার অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
যে ২ জন ডাক্তার আছে ঈদের পর আরেকজন বদলী জনিত কারণে অন্যত্র চলে যাবে এমনটাই বলছেন কর্তৃীপক্ষ। নির্ধারিত পদের বিপরীদে চিকিৎসক না থাকায় রাণীনগর বাসি কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ৩১ শয্যা থেকে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার উন্নত করা হলেও জনবল সংকটের কারণে স্বাস্থ্য সেবার মান ভেস্তে যেতে বসেছে। মেডিকেল অফিসারের ১৭টি পদের মধ্যে ১৫টি পদ শূন্য রয়েছে।
অফিস চলাকালিন সময়ে শুধু হাসপাতালের বর্হিবিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ রোগীর ভিড়ে চিকিৎসা প্রদান করতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা পরিষদ স্থাপিত হওয়ার পরেই ১৯৮৪ সালে পশ্চিম বালুভরা মৌজায় ৬.২৫ একর জমি সরকার অধিগ্রহণ করে প্রথমে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা সঠিক ভাবে প্রদান করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০১২ সালে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নত করার লক্ষ্যে ১৯ শয্যা বিশিষ্ট তিন তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। প্রতিদিন বর্হি বিভাগে প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসে।
এর মধ্য থেকে প্রায় ২০ জনের মত রোগী সুচিকিৎসার জন্য ভর্তি করাতে হয়। চিকিৎসক সংকটের কারণে বহিঃ বিভাগ এবং আন্তঃবিভাগে আশানূরুপ চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. কেএইচএম ইফতেখারুল আলম খান জানান, মেডিকেল অফিসারের ১৭টি পদের মধ্যে ১৫টি পদ শূন্য রয়েছে। চিকিৎসক সংকটের কারনে প্রায় ৩ মাস ধরে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য বিভাগেও নির্ধারিত পদের বিপরীদে জনবল সংকট রয়েছে। তারপরও রাণীনগর বাসির যথাযথ চিকিৎসা সেবা দিতে আমাদের পেশাদ্বারিত্বের কোনো ঘার্তি নেই। প্রয়োজনীয় অসুবিধা গুলো সমাধানের লক্ষ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যথাযথ সহযোগীতা পেলে রাণীনগরবাসি আরো মান সম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা পাবে।
