ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুপেয় পানির সংকটে কয়রাবাসী

সুপেয় পানির সংকটে কয়রাবাসী

সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদ খুলনার কয়রায় সুপেয় পানির সংকট বিরাজ করছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নে নলকূপের পানি আশানুরূপ না হওয়ায় ৪০ হাজারের বেশি পরিবার সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ সকল এলাকার নারী পুরুষেরা খাবারের পানি ও গোসলের জন্য পুকুর ও জলাশয়ের ওপর নির্ভরশীল। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা জানা গেছে কয়রা সদর ইউনিয়ন, মহারাজপুর, উত্তর বেদকাশি ও দক্ষিণ বেদকাশিতে ২ হাজার ৫০০ গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। আমাদি, মহেশ্বরীপুর ও বাগালী ইউনিয়নে নলকূপের পানি আশানুরূপ না হওয়ায় এখানকার লোকজন খাবারের পানি ও গোসলের জন্য পুকুরের ওপর নির্ভরশীল। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ইস্তিয়াক আহমেদ জানান, কয়রার মানুষের খাবার পানির সংকট লাঘবে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য রেইন ওয়াটার হার্ভেষ্টিং প্রকল্পের মাধ্যমে ৩ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার ৪ হাজার ৫০০টি পানির ট্যাংকি বিতরণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১১টি সোলার পিএসএফ, জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৯টি মিষ্টি পানির পুকুর খনন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের আওতায় ৫টি পুকুর খনন করে খাবার পানির সংকট লাঘবের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ৫৫ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানির আওতায় এসেছে বলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মন্তব্য করেন। উপজেল প্রকৌশলী কার্যালয়ের আইপিসিপি প্রকল্পে কর্মরত উপসহকারী প্রকৌশলী রেজা হাসান বলেন, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২১টি পুকুর খনন করে পিএসএফ স্থাপন করে সুপেয় পানি সরবরাহের কাজ চলমান রয়েছে। আকিজের উদ্যোগে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য ২০টি গনজলাধার নির্মাণ করা হয়েছে।

উপজেলা গনজলাধার প্রকল্পের আহবায়ক ইউপি সদস্য সরদার আবু হাসান জানান, সেচ্ছাসেবি সংগঠন আকিজের অর্থায়নে ৬ লাখ ৭৮ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার ২০টি গনজলাধার নির্মাণ করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সব গণজলাধার থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের শত শত নারী পুরুষদের কলসি ভরে খাবার পানি নিয়ে যেতে দেখা যায়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ, রূপান্তর, কারিতাস, প্রদীপন, ইসলামি রিলিফ, নবযাত্রা, সুন্দরবন কোয়ালিশন, সিএনআরএস, ফেন্ডশীপের সহায়তায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে দেড় হাজার নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে বলে ইউপি সদস্য জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, কয়রায় সুপেয় পানির সংকট লাঘবে নলকূপ, পানির ট্যাংকি, মিষ্টি পানির পুকুর খনন ও গনজলাধার নির্মাণ করা হয়েছে। আগামীতে এ সমস্যার সমাধানে রেইন ওয়াটার হার্ভেষ্টিং সিস্টেমের আওতায় কয়েক হাজার পানির ট্যাংকি বিতরণ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত