কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের তেতৈয়া ঘাটপাড়া থেকে আরাকান আর্মির ৬০ জোড়া পোশাক ও নগদ টাকাসহ’ তিনজনকে আটক করার র্যাব প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও সহকারী পুলিশ সুপার আ ম ফারুক। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে এমন বিজ্ঞপ্তিটি পাঠান তিনি। আটকরা হলেন- কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের চৌচুলামুরা এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী শফিকা আক্তার (৩৭), উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ঘোনারপাড়ার মৃত রুস্তম আলীর মেয়ে মিনুয়ারা বেগম (৩৩) এবং একই ইউনিয়নের পূর্ব ফাঁড়িরবিল বটতলী এলাকার দিল মোহাম্মদের ছেলে ইকবাল হাসান (১৪)।
আ ম ফারুক বলেন, দেশে জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত হওয়ার পর থেকে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্টি আরাকান আর্মির তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব সদস্যরা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। গত রোববার বিকালের শেষের দিকে র্যাব খবর পায় কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের তেতৈয়া ঘাটপাড়ায় কতিপয় লোকজন আরাকান আর্মির জন্য তৈরি কিছু সংখ্যক ইউনিফর্মের চালান রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় সরবরাহের জন্য অবস্থান করছে। এ খবরে র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সন্দেহজনক ৪/৫ জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এতে ধাওয়া দিয়ে দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে আটকদের হেফাজতে থাকা তিনটি বস্তা পাওয়া যায়। বস্তাগুলো খুলে পাওয়া যায় আরাকান আর্মির ৬০ জোড়া ইউনিফর্ম। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। র্যাবের এ গণমাধ্যম কর্মকর্তা বলেন, আটকরা জানিয়েছে, উদ্ধার করা ইউনিফর্মগুলো উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছানোর জন্য মজুদ করেছিল। জনৈক নুর মোহাম্মদ ইউনিফর্মগুলো তৈরি করে সরবরাহের ব্যবস্থা করেছিল। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান, সহকারী পুলিশ সুপার আ ম ফারুক।