শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে মুক্তা বেগম (৫২) নামে এক বৃদ্ধা নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের বাড়িজঙ্গল গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে মাইকিং করা হয়।
ভেদরগঞ্জ থানা, নিহতের চাচাতো ভাই নাসিম ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের বাড়িজঙ্গল গ্রামের মান্নান গাজী তার স্ত্রী মুক্তা বেগমকে নিয়ে বাড়ী থাকেন। একমাত্র ছেলে মালয়েশিয়ায় থাকেন। মেয়ের বিয়ের পরে তিনি ঢাকায় থাকে। মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী মুক্তা বেগমকে ঘরে রেখে স্বামী মান্নান গাজী মসজিদে গিয়েছিলেন তারাবির নামাজ আদায় করতে। নামাজ শেষে ঘরে প্রবেশ করেই স্ত্রী মুক্তা বেগমের গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ডাকাত পড়েছে বলে স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করা হয়। এতে পুরো এলাকার সাধারণ মানুষের মনে ভীতির সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ ওই নারীর লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে সাজ্জাদ হোসেন নামে স্থানীয় একজন বলেন, মসজিদের মাইকের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি গিয়েছিলাম। কিন্তু ততক্ষণে পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে। শুনতে পেয়েছি, মান্নান গাজী তার স্ত্রীকে ঘরে রেখে নামাজে গিয়েছিলেন, এসে দেখতে পান তার স্ত্রীর গলাকাটা নিথর লাশ।
ভেদরগঞ্জ থানার ওসি পারভেজ আহম্মেদ সেলিম বলেন, উপজেলার ছয়গাঁও এলাকায় এক বৃদ্ধা নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।