ঢাকার পুলিশের বিশেষ অভিযানে মিরপুর সেন পর্বতা পাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাসকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে তোলার পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা-তুজ-জোহরা আদালতে তোলা হলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করার আদেশ প্রদান করেন তিনি। গত মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার পুলিশের বিশেষ অভিযানে মিরপুর সেন পর্বতা পাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাসকে। গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অফিসে নিয়ে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে গতকাল বুধবার সকালে বান্দরবানে আনা হয় লক্ষীপদ দাসকে। বান্দরবান চিফজুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্ত্বরে বিপুল সংখ্যক পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় আদালতে তোলা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, লক্ষীপদ দাসের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ ৪টি মামলা রয়েছে বান্দরবান সদর থানায়। এছাড়াও দুর্নীতি দমন (দুদক) আইনসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরও একাধিক মামলা রয়েছে বিভিন্নস্থানে। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই পলাতক ছিলেন ক্ষমতার অপব্যবহারকারী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের দুর্নীতিবাজ সদস্য লক্ষীপদ দাস। এদিকে লক্ষীপদ দাস গ্রেপ্তারের খবরে বান্দরবান মিষ্টি বিতরণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্যাতিত ভুক্তভোগীদের প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। আদালত পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার জানান লক্ষীপদ দাসের বিরুদ্ধে বান্দরবান সদর থানায় মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে চারটি নাশকতা এবং একটি ঘরভাঙচুর ও হামলার মামলা।
