ঈদ সামনে ব্যস্ততা বেড়েছে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দর্জি কারিগরদের। ঈদের আগেই কাস্টমারদের হাতে নতুন পোশাক তুলে দেয়ার তাগিদ রয়েছে। কাস্টমাররা যাতে সময়মতো নতুন পোশাক পান, সেজন্য নির্ঘুম রাত কাটছে কারিগরদের। গতকাল বুধবার তাড়াইল সদর বাজার রোড শরীফ অ্যান্ড বুলবুল ক্লথ স্টোরের টেইলার্স ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। দর্জি কারিগর ও কাটিং মাস্টার নুরুজ্জামান খান জানান, ঈদকে সামনে রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তৈরি নতুন পোশাক সরবরাহ করতে হবে। সে জন্য ২০ রমজানের পর থেকে আর কোনো অর্ডার নেয়া হচ্ছে না।
তবে রোজার প্রথম দিকে অর্ডার একটু কম থাকলেও ১০ রমজান থেকে বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, গতবছরের তুলনায় এ বছর পোশাকে বৈচিত্র বেশি। শার্ট, প্যান্ট, থ্রিপিসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৈরি হচ্ছে পাঞ্জাবি। সময়মতো কাজ শেষ করে কাস্টমারকে দিতে পারলেই আমরা খুশি। তাড়াইল বাজার খলিফাপট্টিসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টেইলার্সগুলোতে কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। ব্যস্ততার কারণে দম ফেরার ফুরসত নেই তাদের। কাস্টমার মাসুদ করিম, সৌরভ, ইমনসহ আরও অনেকে বলেন, ঈদে নতুন পোশাক তো সবাই চায়।
রেডিমেড দোকানে একই নকশার অনেক পোশাক থাকে। তাই নিজের পছন্দমতো কাপড় কিনে পোশাক বানাতে দিয়েছি দর্জির দোকানে। সালমা আকতার বলেন, ঈদ সামনে থ্রিপিস বানাতে টেইলার্সে এসেছি। কারণ টেইলার্স থেকে বানিয়ে নেয়া পোশাকের ফিটিং ভালো হয়। কোনো সমস্যা হলে নিয়ে এসে আবার বলা যায়। ব্যস্ততার কারণে ২০ রমজানের পর থেকে অর্ডার নেয়া বন্ধ রয়েছে বলে জানান শরীফ অ্যান্ড বুলবুল ক্লথ স্টোরের মালিক বুলবুল আহমাদ। তিনি বলেন, এখনো প্রতিদিন শত কাস্টমার এসে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে আবার খুব জোর অনুরোধ জানাচ্ছেন। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অর্ডার বন্ধ করার পরও কিছু অর্ডার নিয়েছি।