যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে গতকাল বুধবার ৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।
চট্টগ্রাম : নগরের কাট্টলীতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। সূর্যোদয়ের পর ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং সব সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিবসের প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, রেঞ্জ ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান।
কুষ্টিয়া : দিবসটি উপলক্ষে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে শুরু হয় স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি। এরপর সকাল ৬টা ১০ মিনিটে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন কর্মকর্তারা। পরে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ, জেলা মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
টাঙ্গাইল : জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু করা হয়। পরে মুক্তিযুদ্ধস্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসক শরিফা হক পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে
ক্রমান্বয়ে জেলা পুলিশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণকরা হয়। এরপর টাঙ্গাইল শহিদ মারুফ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনেমনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণকরেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
সিরাজগঞ্জ : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজয়সৌধে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে এ দিবসের সূচনা করা হয়। সেইসাথে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বিজয়সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, সিভিল সার্জন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, র্যাব-১২, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), আনসার-ভিডিপি, জেলা কারাগার, পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন, প্রেসক্লাব, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এনজিও প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে।
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কটিয়াদী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাঈদুল ইসলাম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তিনি আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাবনী আক্তার তারানা, কটিয়াদী মডেল থানার ওসি তরিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন খাঁন, উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মোজাম্মেল হক জোয়ারদার, জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুল হাসান, পৌর বিএনপির সভাপতি আশরাফুল হক দাদন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান প্রমুখ।
চাঁদপুর : সারাদেশের ন্যয় চাঁদপুর জেলা জুড়ে ৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পলিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের বীরমুক্তিযোদ্ধা সড়কে লেকের পাগে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা হয়। এরপর মহান স্বাধনীতা যুদ্ধে শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরনে ‘অঙ্গীকার’ পাদদেশে গভীর শ্রদ্ধায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, জেলা পুলিশের পক্ষে এসপি মুহম্মদ আব্দুর রকিব, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পক্ষে এসপি সৈয়দ মোশফিকুর রহমান।
এছাড়াও জেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের পক্ষ থেকে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে শিশুদের রচনা, আবৃত্তি, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্টেডিয়াম মাঠে দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে পুরস্কার তুলেদেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও চাঁদপুর আর্মি ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা।
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটি সূচনা হয়। এরপর শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। সকাল ৯টায় চৌদ্দগ্রাম এইচজে সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুল মাঠে সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারীদের সালাম গ্রহণ করেন। শেষে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী দল সমূহের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরণ, সংবর্ধনা প্রদান ও উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামাল হোসেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরওয়ার লিমা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রশিদ আহমেদ চৌধুরী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম মীর হোসেন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসাণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোবায়ের হোসেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল হুদা তালুকদার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন ভুঁইয়া, উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
বগুড়া : বগুড়া ইয়াং মেনস খ্রীষ্টিয়ান এসোসিয়েশন (ওয়াইএমসিএ)-এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। গতকাল সংস্থার পল বেসরা অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার সভাপতি মিস অর্পনা প্রামানিক। মূখ্য আলোচক হিসেবে অংশ নেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডী। অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংস্থার উপদেষ্টা দিলীপ মারান্ডী, সহ-সভাপতি রুমা প্রামানিক, কোষাধ্যক্ষ জেমস সত্য রঞ্জন দাস, সাবেক পালক প্রধান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সৌরভ বিশ্বাস।
জয়পুরহাট : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। এ উপলক্ষে জয়পুরহাট শহরের শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার চৌধুরী, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাইমেনা শারমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসক সবুর আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল কুমার, তৃপ্তি কণা মন্ডল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান, জেলা জামাশাতের আমির ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ, সেক্রেটারি গোলাম কিবরিয়া মন্ডল, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান উজ্জ্বল প্রধান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম, মিজানুর রহমান, আব্দুর রউফ, উজ্জল বাইনসহ, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রেসক্লাব, সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।