চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান। ১৯৭১ সালে পরাধীনতা থেকে এদিনে আমরা মুক্ত বা স্বাধীন হওয়ার ডাক দিয়েছি। মুক্তিযোদ্ধারাই হচ্ছে আমাদের রিয়েল হিরো। পৃথিবীর বুকে এ বাংলাদেশের পরিচয় তারাই এনে দিয়েছেন। রাষ্ট্রের কাছে মুক্তিযোদ্ধারা সবচাইতে সম্মানি ব্যক্তি। গত বুধবার চাঁদপুর ক্লাব মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক বলেন, ৩ দিবস আছে যার অর্জন কখনো ছাড়িয়ে যেতে পারবে না। ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর ও ২১ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের শেষ দিন পর্যন্ত এ দিনগুলোকে কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারবে না। এ দিনগুলোকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই এবং আমরা তা করছিও না।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে সবসময়ই কিছু করার চেষ্টা করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে আমার আরও কিছু করার আছে। তবে আমার কাছে এসেছেন তখন আমি গুরুত্ব দেই নাই এমন ঘটনা নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের আইনের মধ্যে থেকেই কাজ করতে হয়। কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া আছে যতটুকু সামর্থ্য থাকবে আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর, তা তারা করবে। একই সঙ্গে কর্মকর্তারা আপনাদেরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিবে এবং দিচ্ছে। আপনাদের সম্মান করতে চাই এবং করে যাচ্ছি। জেলা প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যের প্রসঙ্গে বলেন, নিজেদের মধ্যে বিভক্তি করবেন না। কেউ কেউ ভুল করতে পারে। ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইলে তা ক্ষমা করে দিয়ে নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত ও সাংবাদিক বিএম হান্নানের যৌথ সঞ্চালনায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে অনুভূতি প্রকাশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মাষ্টার, শাহজাহান গাজী, সিরাজুল ইসলাম বরকন্দাজ, মুজিবুর রহমান ও ড. কাজী হাশেম প্রমুখ। ৩৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে বিশেষ উপহার প্রদান করেন অনুষ্ঠানের সভাপতিসহ অন্যান্য অতিথিরা। এছাড়াও শুরুতে তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছাও প্রদান করা হয়।