পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস গতকাল শুক্রবার বিকাল তিনটায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করেছ। ফলে পাবনার ঈশ্বরদীসহ আশেপাশের এলাকায় অস্বাভাবিক আবহাওয়া বিরাজ করছে। এখানে এখন দিনের বেলায় গরম অনুভূত হলেও রাতের বেলায় শীতে কাঁথা-কম্বল দিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে। সন্ধ্যার পর হতে শুরু হয় শীতের প্রভাব। এদিকে গতকাল শুক্রবার ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ। গতকাল আবহাওয়া অফিস বিকাল তিনটায় ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করে। আবহাওয়ার এ তারতম্য প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিরাজ করছে। যেকারণে দেখা দিয়েছে নানা রোগ-বালাই । চলতি মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় মৃদু তাপপ্রবাহ।
গত ১৬ মার্চ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। ২০ মার্চ থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৫ মার্চ থেকে ফের তাপমাত্রা বেড়ে ৩৪ ডিগ্রি এবং ২৬ মার্চ সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, এ অঞ্চলে গত এক সপ্তাহ ধরে দিনের বেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। ফলে দিনের বেলায় গরম অনুভূত হচ্ছে। আর সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমে গেলে শীত বাড়তে থাকে। যা সকাল ৭/৮ টা পর্যন্ত থাকে। আবহাওয়ার তাপমাত্রা পর্যালোচনা করে আবহাওয়াবিদরা বলছেন এটা অস্বাভাবিক। এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, চৈত্র মাসে অস্বাভাবিক আবহাওয়া মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য। দিনের বেলা তাপ বিকিরণ কম হয় বলে গরম লাগে। আর বিকালের পর থেকে তাপ বিকিরণ বেশি শুরু হলে ঠান্ডা লাগে। তবে দীর্ঘদিনের মধ্যে ঈশ্বরদী অঞ্চলে আবহাওয়ার এমন তারতম্য দেখা যায়নি। এদিকে ঠান্ডা-গরমের জন্য ভাইরাস জ্বর, সর্দি, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। ঈশ্বরদী উপজেলা হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন দুই শতাধিক শিশু ও বৃদ্ধ চিকিৎসা নিতে আসছে। এদের মধ্যে যাদের অবস্থা ভালো নয় তাদের ভর্তি করে নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও শিশু চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারে রোগীর ভিড় দেখা গেছে।