চাঁদপুরে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে এবং যাত্রীরা যেন হয়রানি না হয়, সেজন্য চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের ২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ক্যাম্প ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন সেবামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে এসব কাজের তদারকি করতে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়েছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। এ সময় তিনি পুরো লঞ্চঘাট ঘুরে দেখেন এবং যাত্রী সাধারণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও তিনি পল্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন লঞ্চগুলোতে ঘুরে দেখেন। এ সময় লঞ্চে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। যাত্রীসেবায় যেন কোনো ধরনের অবহেলা বা যাত্রীরা যেন কোনো হয়রানি না হয়, সে ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন। পরে পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক জানান, যাত্রী নিরাপত্তায় এখানে আমরা কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশের পর্যাপ্ত ফোর্সের ব্যবস্থা করেছি। পাশাপাশি জেলা পুলিশের ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ স্কাউটস্-এর সদস্যদেরও রাখা হয়েছে, যেন লঞ্চ থেকে নেমে যাত্রীরা কোন ধরনের হয়রানির মধ্যে না পরেন। অন্য সব সময়ের থেকে এবারে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করি এই ঈদে হয়তো যাত্রীর চাপ বেশি থাকবে; কিন্তু অতীতের ন্যায় এবার কোন ধরনের যাত্রীরা হয়রানির শিকার হবে না। ডিসি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা ভালো। আমরা কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বলেছি তারা আমাদের কাছে কোন ধরনের অভিযোগ দেন নাই এবং সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থাটা আরো একটু উন্নত করতে পারি। লঞ্চ এসে ঘাটে থামলে একটু যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, এটার ব্যাপারে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি। যেহেতু আজকে থেকে মানুষজন ঈদ উপলক্ষে আসতে শুরু করেছে, সেহেতু ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আরো একটু উন্নত করব। এ সময় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমৃত দেবনাথ, দিপংকর বাড়ৈ, বিআইডব্লিউটিএ এর পোর্ট অফিসার বশির আলী খান, আহমেদ, নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম এস ইকবাল হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।