একসময় ধান সংগ্রহের পর চাতালে শুকিয়ে হতো চাল প্রক্রিয়ার কাজ। এগুলোকে বলা হতো হাসকিং মিল বা চাতাল। শুধু চাল-ই নয়, গম, ভুট্টা, শরিষাসহ বহু শষ্য শুকানো হতো চাতালে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ধান ও চালের মূল্য এবং অটোরাইস মিলের কারণে লোকসানের পড়ে চাতালগুলো আজ বিলুপ্তির পথে। তাই চাতাল ভেঙে কেউ কেউ গড়ে তুলেছেন আাসা বাড়ি, দোকানপাট। আবার কেউ কেউ গড়ে তুলছেন গরুসহ হাঁস-মুরগি, ছাগল-ভেড়ার খামার। এমন চিত্র দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলাজুড়ে। চাতাল ব্যবসায় দুর্দিন চলায় মালিকরা ব্যবসা বদলাচ্ছেন।
হাসকিং মিল মালিকরা বলেন, বাজার থেকে ধান কিনে চাল বানিয়ে বিক্রি করলে লাভ তো দূরের কথা, লোকসানের ঘানি টানতে ব্যবসা শেষ হয়ে যায়। বিশেষ করে হাসকিং মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের তৈরি চাল আর অটোরাইস মিলের চালের দর প্রকারভেদে প্রতি মনে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি।
অথচ বাজার থেকে ধান কেনার সময় প্রায় একই দরে কেনাকাটা হয়। এজন্য এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভবপর হচ্ছে না। জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী বলেন, অটোরাইস মিলের চালের সঙ্গে হাসকিং মিলের তৈরি চাল কিছুটা নিম্ন মানের হওয়ায় চলমান বাজারে টিকতে পারছেনা।