ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও নাসিরনগরে পৃথক সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে জেলার কসবা উপজেলার নয়নপুর রাবেয়া মান্নান ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাবেক সংসদ সদস্য মুশফিকুর রহমান পক্ষের নেতাকর্মীরা। তবে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতাকে অতিথি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন জেলা বিএনপির সদস্য কবির আহমদ ভুঁইয়ার পক্ষের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতি ও পরে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কসবা থানার ভাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
একই দিন বিকালে জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা গ্রামে মালেক গোষ্ঠী ও ইউসুফ গোষ্ঠীর মধ্যে ফুটবল খেলায় বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, বিকেলে চাপরতলা গ্রামে ১০ থেকে ১৫ জন ছেলে ফুটবল খেলা খেলছিল। খেলার সময় ফুটবলটি মসজিদের অজুখানার ভেতরে পড়ে একটি পানির ট্যাপ ভেঙে যায়। এ সময় ইউসুফ ক্ষুব্ধ হয়ে মালেকের ভাগিনাকে ফুটবল খেলতে বারণ করে ধমক দিয়ে চড় ধাপ্পড় দেয়। পরে মালেকের গোষ্ঠীর লোকজন এসে ইউসুফ গোষ্ঠীর লোকজনদের সাথে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মালেক গোষ্ঠী ও ইউসুফ গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল আলম জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
