নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বাংলাদেশ আন্তঃজিলা ট্রাক কাভার্ডভ্যান মিনি ট্রাক চালক-শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং-বি-১৬৬৫), সাইলো শাখার নামে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে লাগামহীন চাঁদাবাজিসহ সংগঠন বিরোধীকর্মকাণ্ড এবং কার্যালয়ে অবৈধভাবে তালা দেয়ার অভিযোগে প্রতিবাদ সভা করেছে ইউনিয়নের চালকরা। গত বুধবার সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো এলাকায় অত্র ইউনিয়নের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ আন্তঃজিলা ট্রাক কাভার্ডভ্যান মিনি ট্রাক চালক-শ্রমিক ইউনিয়ন সিদ্ধিরগঞ্জ সাইলো শাখার কার্যকরী সদস্য আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এবং আনোয়ার হোসেন মেম্বারের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, অত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাজী মো. নাছির উদ্দিন, সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রিপন, কার্যকরী সভাপতি হাজী আব্দুস সোবহান, যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন কালু, সহ-সম্পাদক নুর নবী, দপ্তর সম্পাদক নুর হোসেন মুরব্বী, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন, চালক সাব্বির, বিপ্লব, খোকন, আবু কালাম, তরুন, ফালান।
এ সময় পণ্য পরিবহনে লাগামহীন চাঁদাবাজিসহ সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ড এবং কার্যালয়ে অবৈধভাবে তালা দেয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের আমলে ১৫টি বছর কমিটিকে পুঁজি করে সভাপতি-সম্পাদক নিজেদের আখের ঘুচিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করেছেন।
৫ আগস্টে দেশ নতুন করে স্বাধীন হলেও ১৬৬৫ সাইলো শাখা স্বাধীন হয় নাই। অত্র কমিটির সভাপতি-সম্পাদক পালিয়ে গেলেও একটি পক্ষ বিএনপির নাম ভাঙিয়ে আমাদের কার্যালয়টি দখল করেছিল। তারা নিজেরা একটা পকেট কমিটি বানিয়ে গত ৮ মাস ধরে সাইলো এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি করেছে। ইউনিয়নের কার্যালয়ে আমাদের শ্রমিক ভাইদের প্রবেশ করতে দেয় নাই। নানান ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে তারা অপকর্ম চালিয়ে গেছে। তারা ঈদের আগেই আমাদের কার্যালয়ে ডাবল তালা মেরে রেখেছে। আমারা তাদের এই ন্যাক্কারজনক কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা কোন বহিরাগত লোকদেরকে এই সংগঠন ব্যবহার করতে দিব না।
আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাধারণ সভা এবং নির্বাচন বাস্তায়ন চাই। গত ৮/৯ বছর ধরে কোন নির্বাচন দেয়া হচ্ছে না। আমাদের সংগঠন আমরাই চালাব। আমাদের কার্যালয়ে আমরা বসতে না পারলে কেউ বসতে পারবে না। তালা ভেঙে আমরা আমাদের শ্রমিক ইউনিয়নে প্রবেশ করব। শ্রমিকরা রাজনীতি বুঝে না। শ্রমিকরা কাজ করে ভাত খায়। প্রতিবাদ সভায় সবার সম্মতিতে অত্র সংগঠনের সাবেক সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম রিপনকে আহ্বায়ক এবং মো. খোরশেদ আলমকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট সাধারণ সভা বাস্তবায়ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়।