বিগত সরকারের সময় বগুড়া সারিয়াকান্দির ২টি ইউনিয়নের কিছু অংশ জামালপুর সংযুক্ত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সারিয়াকান্দি ও সোনাতলাসহ বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলার এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মানববন্ধনটি সারিয়াকান্দির কাজলা ইউনিয়নের জামথল নৌঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাজলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন জিন্নাহর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রস্তাাবিত জেড ফোর্সের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল জগলুল আহসান। সাবেক ছাত্রনেতা শহিদুল ইসলাম সোহাগের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক ও বগুড়া জেলা বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ঢাকাস্থ সারিয়াকান্দি কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক ছালজার রহমান, বৃহত্তর বগুড়া সমিতির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মুকুল, সোনাতলা উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক এমদাদুল হক বাদশা, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাসুদুর রহমান হিরু মণ্ডল, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শরিফুল ইসলাম হিরা, কাজলা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি, কাজলা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা সাকি, উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাকিল মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে জগলুল আহসান বলেন, আমাদের বাপ দাদা চৌদ্দ পুরুষের ঠিকানা, জমিজমার কাগজপত্র সব বগুড়া সারিয়াকান্দির নামে। হঠাৎ করে বগুড়ার কিছু মৌজা জামালপুর মাদারগঞ্জের মধ্যে কেটে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে আমরা এলাকাবাসী একজোট হয়েছি। আমরা আমাদের বাপ দাদাদের বসতভিটা বগুড়া সারিয়াকান্দির মাঝেই রাখতে সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন। তাই অনতিবিলম্বে নিকারের সিদ্ধান্ত বাতিল করে, সুপ্রিমকোর্টে দায়ের করা রিট পিটিশন আমলে নিয়ে, বগুড়ার জমি বগুড়ার মানুষকে ফিরিয়ে দেয়ার আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। সারিয়াকান্দি উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের জামথল মৌজার সম্পূর্ণ ১২০০ একর জমি ও ১ হাজার ৫০০টি পরিবারের ৬ হাজার ৫০০ জনসংখ্যা, টেংরাকুড়া মৌজার আংশিক ৩০০ একর জমি ও ৩৫০টি পরিবারের ২ হাজার জনসংখ্যা, বেড়াপাঁচবাড়িয়া মৌজার আংশিক ১৭৫ একর জমি ও ২০০টি পরিবারের ৫০০ জনসংখ্যা, পাকুড়িয়া মৌজার আংশিক ১৫০ একর জমি ও ১৫০টি পরিবারের ৩০০ জনসংখ্যা এবং কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের ছোনপচা মৌজার ২৫০ একর জমি ও ২৫০টি পরিবারের ৭৫০ জনসংখ্যা বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলা হতে জামালপুরের মাদারগঞ্জে সংযোজন করা হয়েছে। ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বগুড়া সারিয়াকান্দির ২ ইউনিয়নের ৫টি মৌজার ২ হাজার ৭৫ একর জমি জামালপুরের সিমানায় সংযোজন করা হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে গত ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন বগুড়া সারিয়াকান্দি কাজলা ইউপির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এএসএম রফিকুল ইসলাম।