ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়নের দাবি

চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়নের দাবি

গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স নিয়োগ এবং চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়নের দাবিতে নাগরিক মঞ্চের আয়োজনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে অবস্থিত গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে, অ্যাডভোকেট ফারুক কবীরের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, নাগরিক মঞ্চের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, সাংবাদিক হেদায়েতুল ইসলাম বাবু এবং সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির তনু, অ্যাড কুশলাশীষ চক্রবর্তী, অ্যাড মোহাম্মদ আলী প্রামানিক, মানবাধিকার কর্মী শহিদুল ইসলাম, মনির সুইট, সেলিনা আক্তার সোমা, নাজমা বেগম, সাজেদা পারভীন রুনু, মাহবুব সাগর, রবিদাস নেতা খিলন রবিদাস, আদিবাসী নেতা বৃটিশ সরেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফজাল সিরাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজমাইন মাহতাব, রুয়েট শিক্ষার্থী পার্থ সারথি, মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী সন্ধান বর্মন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে চলছে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতাল। রোগীদের কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার নামে নেয়া হচ্ছে টাকা, নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে নিতে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা, হাসপাতালের ভিতর ও বাইরে দুর্গন্ধ। বারবার অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠলেও নেই কোনো প্রতিকার। বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ শয্যার অনুমোদন পেয়েছে, কিন্তু ২৫০ শয্যার জনবল অনুমোদন দেয়া হয়নি। বর্তমানে মাত্র ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে হাসপাতালটি চললেও এতে অনেক শূন্য পদ রয়েছে। এর ফলে সেবাপ্রত্যাশী জনগণ কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসক না পেয়ে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতালে বেড না পেয়ে রোগীদের মেঝেতে চিকিৎসাসেবা নিতে হয়। শয্যা সংকট নিরসনের জন্য নতুন বহুতল ভবনটি দ্রুত চালু করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এছাড়া হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য আইসিইউ ইউনিট চালু করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, বরাদ্দকৃত ওষুধ রোগীদের না দিয়ে বাহিরে বিক্রি করে ওষুধ সংকট দেখানো হয়, রোগীদের প্রায়শই বাহিরে থেকে ওষুধ কিনে এনে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়, অপর্যাপ্ত ডাক্তার, টেকনিশিয়ান, অকার্যকর ইসিজি এক্সরে মেশিন, ভর্তিরত রোগীদের অত্যন্ত নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই এই হাসপাতালে। বক্তারা গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে সব দুর্নীতি এবং অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া, একই সঙ্গে, পর্যাপ্ত ঔষধ এবং যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

এক মাসের মাঝে সকল দাবি পূরণ করা না হলে আগামী ৩ মে আবারো কঠোর কর্মসূচির ঘোষনা দেন বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণকারী নেতারা। কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে একটি গণসংগীত পরিবেশন করেন গণসঙ্গীত শিল্পী রণজিৎ সরকার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত