ঢাকা শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রবীন্দ্রনাথের ম্যুরালের কালি অপসারণ

রবীন্দ্রনাথের ম্যুরালের কালি অপসারণ

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালো রঙের কালি লাগিয়ে বিকৃতি করা, সেই কালি অপসরণ করেছে কুমারখালি উপজেলা প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার সকালেই কুমারখালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলামের নির্দেশে ম্যুরালের আগের পূর্ণাঙ্গ রূপ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের বানান ঠিক করা হয়েছে। ঈদের ছুটি থাকার কারণে রাতের আঁধারে কে বা কারা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালো রঙের কালি লাগিয়ে বিকৃতি করেছিল এবং তার নামের বানানও বিকৃতি করা হয়েছিল। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানাজানি হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠে রবীন্দ্র ভক্ত ও গবেষকরা। কুষ্টিয়ার কুমারখালীর প্রবেশপথ কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের জিলাপিতলা এলাকায় অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন এই ম্যুরালটির কালি অপসরণ করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাৎক্ষণিক এই মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলাসহ দেশের রবীন্দ্র ভক্ত ও গবেষকরা।গতকাল শনিবার সরজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের দক্ষিণপাশে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরাল। ম্যুরালে থাকা কবির ছবির মুখমন্ডল কালো রঙ অপসরণ করে ম্যুরালের আগের পূর্ণাঙ্গ রূপ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের বানান ঠিক করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ম্যুরাল চত্বরটিতে জন্মানো আগাছা ও লতাপাতা পরিষ্কার করা হয়েছে। চটে যাওয়া রংও ঠিক করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরাকে সক্রিয় করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, কে বা কারা কখন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি লাগিয়েছে সেটি জানা না গেলেও খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত ম্যুরালটির সংস্কার কাজ করা হয়েছে। তবে অপরাধীদের চিহ্ন করে আইনের আওতায় আনা হবে।

কবি লিটন আব্বাস বলেন, রবীন্দ্রনাথ নয়, এ কালি পুরো বাঙালি জাতির মুখে লেগেছে। কে বা কারা কী উদ্দেশে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটি তদন্ত করে প্রকাশ্যে আনার দাবি করছি। কুমারখালি উপজেলা প্রশাসন কালি অপসরণ করে দ্রুত ম্যুরালটির সংস্কার কাজ করায় জাতি কলঙ্কমুক্ত হলো। এ জন্য কুমারখালি উপজেলা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানায়।

কুমারখালী থানার ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, জাতীয় ইস্যুর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খবর পাওয়া মাত্রই উপজেলা প্রশাসন স্থানীয়দের সাথে নিয়ে কালি অপসারণ করে দ্রুত ম্যুরালটির সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ করেছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত