ঢাকা শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তেজপাতা চাষ দিন দিন বাড়ছে

তেজপাতা চাষ দিন দিন বাড়ছে

কম পুঁজি ও কম সময়ে ফলন ভালো পাওয়ায় বগুড়ায় তেজপাতা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। মসলা হিসেবে অতি পরিচিত তেজপাতায় রয়েছে অনেক ভেষজ গুণাগুণ। ঔষধ হিসেবে পাতা ও ছাল ব্যবহার হয়। গাছের বাকল হতে তেল পাওয়া যায়, যা সাবান প্রস্তুতে ব্যবহার হয়। এছাড়াও বাকল ও পাতা ট্যানিন হিসেবে ব্যবহার হয়।

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার কৃষকেরা ধান, গম, ভুট্টার পাশাপাশি মসলা ও ঔষধি জাতীয় ফসল তেজপাতা চাষ করছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় তেজপাতা চাষে তিনগুণ লাভ করছে চাষিরা। এটি একবার রোপণ করলে অন্য ফসলের মতো তেমন আর খরচ করতে হয় না। মাঠ থেকে পাতা কিনে নেন ব্যবসায়ীরা। তেজপাতা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন (৩০) জানান, বর্তমানে তেজপাতার চাহিদা ভালো। কম টাকায় বেশি লাভ করা সম্ভব এ ব্যবসায়। তেজপাতা বিভিন্ন প্রকার রান্নার কাজে ও ওষুধের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও বিদেশে রপ্তানি হয়।

কৃষক রহিম উদ্দিন জানায়, এটি একটি ব্যতিক্রমী ফসল। আমি দুই বছর পূর্বে ২০টি তেজপাতা গাছ রোপন করি। এরই মধ্যে প্রত্যেকটি গাছে ব্যাপকহারে পাতা হওয়ায় তা সংগ্রহ এবং বাজারজাত করা শুরু করেছি। তেজপাতা চাষে একবার খরচ করলে তারপর থেকে টাকা আসা শুরু হয়। এখন আর তেমন খরচ নেই। একই এলাকার কৃষক আরমান জানান, তেজপাতা আবাদে অন্যান্য ফসলের তুলনায় তিনগুণ লাভ হয়। ভালো পরিচর্যা করলে ছয় থেকে সাত মাস পর এক বিঘা জমির পাতা বিক্রি করে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করা যায়।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চারা লাগানোর ৪/৫ বৎসর পর থেকে পাতা সংগ্রহ করা যায় এবং ১টি গাছ থেকে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত পাতা সংগ্রহ করা যেতে পারে। স্বাস্থ্যবান ও কম বয়সী গাছ থেকে প্রত্যেক বছর পাতা সংগ্রহ করা গেলেও রুগ্ন ও বেশি বয়সী গাছ থেকে ১ বছর অন্তর পাতা সংগ্রহ করা উচিত। বৃষ্টিতে পাতার সুগন্ধ নষ্ট হয়ে যায় বিধায় অক্টোবর-মার্চ মাস পর্যন্ত পাতা সংগ্রহ করা হয়ে থাক। গাছ থেকে পাতা তোলার পর ৫-৭ দিন ছায়াতে শুকিয়ে নিয়ে বিক্রয়ের জন্য বস্তায় ভরা হয়। মসলা ও ঔষধি গুণে সমাহার তেজপাতা চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত