ঢাকা শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উচ্ছেদে বিদ্যুৎহীন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা দুশ্চিন্তায়

উচ্ছেদে বিদ্যুৎহীন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা দুশ্চিন্তায়

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঈদের আগের দিন হঠাৎ বনবিভাগের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ৯ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন প্রায় ২০০ পরিবারের মানুষ। ফলে দিনে রোদ, রাতে অন্ধকার আর ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। অবস্থায় সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় পড়েছে এবারের এসএসসি পরিক্ষার্থীরা। এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগের দিন গত ৩০ মার্চ দিনব্যাপী কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা রেঞ্জের সিনাবহ ও বাঘাম্বর এলাকায় হঠাৎ উচ্ছেদ অভিযান চালায় বনবিভাগ। অভিযান চালিয়ে ঈদ ফিতরের সকল প্রস্তুতির মালামাল, ঘরবাড়িসহ প্রায় ২০০ অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে তছনছ করে দেয়া হয়। বনবিভাগের হঠাৎ এমন উচ্ছেদে গৃহহীন ও বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে এ সব পরিবারের মানুষেরা। নেই বিশুদ্ধ পানি সাপ্লাই ব্যবস্থাও। ফলে গত ৯ দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে আতঙ্কে বসবাস করছেন শিশু, গর্ভবর্তী নারী, বৃদ্ধসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মানুষ। ফলে দিনে রোদ, রাতে অন্ধকার আর ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। তাদের ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে রূপ নিয়েছে বিষাদে। আর বিদ্যুৎ না থাকায় একদিকে গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠছে তাদের জনজীবন, অন্যদিকে রাতে অন্ধকারে আলোর অভাবে লেখাপড়া করতে পারছে না এ সব পরিবারের স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। অথচ আর মাত্র একদিন পরেই সারা দেশে শুরু হচ্ছে এসএসসি পরিক্ষা। এ অবস্থায় আলোর অভাবে পড়াশোনায় ক্ষতির মুখে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় পড়েছে এবারের এসএসসি পরিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ওই দুটো গ্রামে একাধিকবার গেলেও এখনো সরকারি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিদর্শনে যাননি। ফলে কোনো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় হতাশায় আহাজারীতে না বিলেপ করছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মানুষেরা। আর কোনো সময় না দিয়ে ঈদের আগের দিন হঠাৎ বনবিভাগের এমন উচ্ছেদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেসহ নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন মহলের মানুষ। এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমা আক্তার ও সায়মন হোসেন বলেন, এই দুই এলাকা থেকে আমরা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরিক্ষা দিবো। কিন্তু বনবিভাগের উচ্ছেদের পর বিদ্যুৎহীন হয়ে আমরা অন্ধকারে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি। আমাদের বই-খাতা সব চাপা পড়ে আছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত