সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার রনতিথা গ্রামে ভাড়া বাসা থেকে শিশু অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপহৃত শিশু দিঘী মনিকে (০৮ মাসের) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ উদ্ধার অভিযানে পুলিশ প্রশংসিত হয়েছে এলাকায়। রায়গঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার গয়লা মহল্লার বাপ্পী মন্ডল তার পরিবার নিয়ে ওই গ্রামের বাদশা মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতেন দীর্ঘদিন ধরে। গত রোববার দুপুরে শিশুটির মা মরিয়ম খাতুনকে ঘোল খাইয়ে অচেতন করে এবং তার ৮ মাসের শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অপহরণ চক্রের সদস্যরা। বহু খোঁজাখুজির পর ওই শিশুর সন্ধ্যান মেলেনি।
পরদিন এ ব্যাপারে তার মা বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনের দিক নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মাঠে নামে পুলিশের একটি চৌকস দল। বিশেষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে রংপুর থেকে বগুড়ার ধুনট উপজেলার চরখাদুলী গ্রামের কালামকে এবং পরদিন রায়গঞ্জ থেকে এ চক্রের অন্য সদস্য একই এলাকার কুড়িগাতি গ্রামের হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ওই দুই জনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় ওই শিশুকে যশোরে বিক্রি করে দিয়েছে। পুলিশ সদস্যরা গত রোববার দুপুরে যশোরের কোতোয়ালি উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামের সামিউল ইসলামের বাড়ি থেকে অপহৃত ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয় এবং ওই শিশুকে গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শিশু দিঘী মনি বর্তমানে ভালো আছে।
ভুয়া বাবা-মা সেজে স্টাম্পের মাধ্যমে চুক্তি করে ৮০ হাজার টাকায় নিঃসন্তান সামিউলের কাছে শিশু দিঘি মনিকে বিক্রি করা হয়েছিল। এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে উল্লেখ করেন ওসি।