ঢাকা শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কচু চাষে আগ্রহ বাড়ছে বগুড়ার কৃষকদের

কচু চাষে আগ্রহ বাড়ছে বগুড়ার কৃষকদের

বগুড়ায় কৃষকদের মধ্যে কচু চাষের প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। কম পরিশ্রমে অধিক ফলন ও লাভজনক হওয়ায় জেলার প্রায় সব উপজেলায় কৃষকরা মুখী কচু, মান কচু, পানি কচু, ওল কচু, কাঠকচুসহ বিভিন্ন জাতের কচু চাষ করছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বগুড়ায় ৯৩৪ হেক্টর জমিতে কচু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি। গত বছর চাষ হয়েছিল ৭৫০ হেক্টর জমিতে। শাজাহানপুর উপজেলার খোট্রাপাড়া ইউনিয়নের ভান্ডারপাইকা গ্রামের কৃষক জালাল জানান, তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে মুখী কচু চাষ করেছেন। তার খরচ হয়েছে ১৫-২০ হাজার টাকা। তবে তিনি আশাবাদী, বিঘা প্রতি ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার কচু বিক্রি করতে পারবেন। একই গ্রামের আরেক কৃষক মজনু বলেন, তিনি চার বিঘা জমিতে কচু চাষ করেছেন। ধানের চেয়ে কচু উৎপাদনে লাভ বেশি এবং বাজারে এর চাহিদাও বেশি। বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ মণ ফলন পাওয়ার আশাবাদী তিনি।

চাষিরা বলছেন, কচু চাষে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন কম, জৈব সারেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। সঠিকভাবে সেচ দিলে কম খরচে বেশি উৎপাদন সম্ভব। কাঠকচু চাষি আজাদ মিয়া জানান, ১৮ শতাংশ জমিতে কচু চাষ করে তার খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকার মতো। তিনি নিজেই জমির পরিচর্যা করছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও আধুনিক প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোহেল মো. শামসুদ্দীন ফিরোজ।

তিনি বলেন, কচুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস, সালফার ও আয়রন, যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শাজাহানপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আমিনা খাতুন জানান, প্রতিবছর কচু চাষ বাড়ছে। কৃষকদের উচ্চফলনশীল জাত চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, চাষে পরিশ্রম একটু বেশি হলেও লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা কচুর দিকে ঝুঁকছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত