ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

টিআর প্রকল্প নিয়ে প্রশংসিত পাবনার ডিসি

টিআর প্রকল্প নিয়ে প্রশংসিত পাবনার ডিসি

২০২৪-২৫ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার উদ্যোগ নিয়েছেন পাবনার জেলা প্রশাসক। এ বছর প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার উদ্যোগ নেয়ায় সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম।

পাবনা জেলা ত্রাণ ও পুর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচি বাস্তবায়নে পাবনা জেলার জন্য ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম জেলার ৯টি উপজেলায় ৩৫টি প্রকল্পের মাধ্যম ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ করেন। উক্ত প্রকল্পের আওতায় জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান মেরামত ও উন্নয়ন এবং জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা/ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং জনবহুল স্থানে জনসাধারণের জানমালসহ সার্বিক নিরাপত্তা এবং সরকারি সম্পদ রক্ষার প্রকল্প রয়েছে।

এ বছর টিআর প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার উদ্যোগ নেয়ায় পাবনার সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম।

পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমরা আগের বছরগুলোতে দেখতাম এমপি, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা এসব প্রকল্পের টাকা অনিয়মের মাধ্যমে ব্যয় করত। কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো কোনো জেলা প্রশাসক নিজ উদ্যোগে অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টিআর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এসব কাজের প্রমাণ যে কেউ দেখতে পারবেন। দিনের আলোর মতো স্বচ্ছ। তিনি ব্যতিক্রমী একজন জেলা প্রশাসক। রাত-দিন নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন পাবনাবাসীর জন্য।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাবনা জেলার আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল বলেন, আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ১শ’ বছরের রেকর্ড রুম ভবন। যেখানে মানুষের জমির কাগজপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসহ সংরক্ষণ থাকে। কিন্তু সেই রেকর্ড রুম ভবনটি খুবই বাজে ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এর আগের কোনো জেলা প্রশাসক বা কোনো জনপ্রতিনিধি, এমপি এটা নিয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। কিন্তু এবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলামের নিজ উদ্যোগে এই রেকর্ড রুম সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। যা এরইমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা পরিদর্শন করে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পাবনার আহ্বায়ক বরকত উল্লাহ ফাহাদ বলেন, পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলামের এমন কাজ নিয়ে অনেকেই ষড়যন্ত্র করছেন। যারা আগের বছরগুলোতে এসব প্রকল্পের টাকার ভাগবাটোয়ারা পেতেন তারা এবার না পেয়ে নানাভাবে বিতর্ক সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। বিশেষ করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর আওয়ামী লীগের বি-টিম হিসেবে খ্যাত আওয়ামী সুবিধাভোগিরা এখন এসব কাজ নিয়ে নানা মাধ্যমে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, চেষ্টা করেছি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ভাবে কাজ করতে। গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির বাস্তবায়ন? নির্দেশিকাণ্ড২০২১ মেনে প্রকল্পের কাজগুলো হচ্ছে। এর আগে গত ফেব্ররুয়ারিতে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় পাবনা জেলার জন্যও ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল।?

একটি প্রকল্পও নীতিমালার বাহিরে গ্রহণ করা হয়নি। কেউ যাতে এসব প্রকল্পের টাকা অনিয়ম করতে না পারে সেজন্য জবাবদিহিতা রাখার চেষ্টা করছি। আমরা চেষ্টা করছি মানুষ যাতে আমাদের কাজের সুফল পায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত