যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ উত্তর বুরুজবাগান এলাকার ফাতিমাতুজ্জোহরা কওমি মহিলা মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রীদের কক্ষে মিলল সিসি ক্যামেরা। এসময় শিক্ষকের কক্ষ থেকে মনিটরসহ সিসি ক্যামেরার মূল মেশিনটি জব্দ করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন যশোরের নাভারণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান। এর আগে, অভিভাবকদের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকালে ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় মাদ্রাসা থেকে ১৬টি সিসি ক্যামেরা অকেজো করে মূল মেশিনটি জব্দ করে নিয়ে যায় পুলিশ। এই বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, নাভারণ উত্তর বুরুজবাগান এলাকায় অবস্থিত ওই কওমি মহিলা মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় দুই শিক্ষক থাকেন। ওপরের চারটি তলায় আবাসিক থেকে মেয়েরা লেখাপড়া করে। মেয়েদের শোবারকক্ষে দুটি করে নাইট ভিশন ক্যামেরা স্থাপন করা ছিল। ওই ক্যামেরার মনিটর শিক্ষকের কক্ষে ছিল। নারী পুলিশ সদস্য পাঠিয়ে এগুলো জব্দ করা হয়েছে। এক মাসের ফুটেজের রেকর্ড আছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। মেয়েদের শোবার ঘরে ক্যামেরা স্থাপন করে তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব করা হয়েছে। এটা কেউ করতে পারেন না। পুলিশ জানায়, মাদ্রাসাটিতে ছাত্রীদের কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যাপারে এক অভিভাবক যশোর পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল (বুধবার) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক আবু তাহেরকে (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। যখনই ডাকা হবে, তখনই হাজির হওয়ার শর্তে পরে আবু তাহেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে ওই মাদ্রাসায় কতজন মেয়ে থাকে, তার হিসাব মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি। তবে ৪০ জন মেয়ের নাম পেয়েছে পুলিশ। সংখ্যাটি শতাধিক হতে পারে।