ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বিএনপির দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত পাঁচ

বিএনপির দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত পাঁচ

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে বিএনপির এক পক্ষের মানববন্ধনে অপর একটি পক্ষ বাধা দিলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কামাল উদ্দিন, স্থানীয় যুবদল কর্মী রাকিব জিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুজন মিয়া, যুবদল নেতা মো. শরীফ ও সুবর্ণচর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল খায়ের আকাশ।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ডা. মো. শাহজাহান, মো. কামাল উদ্দিন, জাকির হোসেন, মো. রায়হান, ভুট্ট মাঝি প্রমুখ। বক্তারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুকের বড় ভাই স্থানীয় চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্যাহ মিয়া উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা হয়েও আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে আতাত করে বিএনপির সব আন্দোলন-সংগ্রামে নিজেকে আড়ালে রেখে গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবদুল্যাহ মিয়া এলাকায় বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নোয়াখালী পৌর যুবদল নেতা জাকির হোসেনের ৪ একরের একটি মৎস্য খামার, স্থানীয় ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দিনের ৩ একরের একটি মৎস্য খামার, নাছের আহাম্মদের ২ একর জমি, আবদুল হাইয়ের ২ একর জমি, ইলিয়াছ মিয়ার ২ একর জমিসহ ১৬ জন ব্যক্তির প্রায় ৩০ একর জমি জোরপূর্বক দখল, খামারের মাছ লুট, চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। বক্তারা আরও বলেন, আবদুল্যাহ মিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে দাঁড়ান এলাকার কয়েকশ’ নারী-পুরুষ। এসময় আবদুল্যাহ মিয়ার অনুসারী সুবর্ণচর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল খায়ের আকাশ মানববন্ধনে বাধা দেয়। এতে মানববন্ধনকারীরা তাকে পিটিয়ে প্রতিহত করলে আকাশ ফোন দিয়ে তার লোকজন জড়ো করে পুনরায় মানববন্ধনকারীদের ওপর হামলা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ৪ মানববন্ধনকারীসহ পাঁচজন আহত হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহদের মধ্যে ৩ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুবর্ণচর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল খায়ের আকাশ জানান, মানববন্ধনকারীরা পরিকল্পিতভাবে নিজেদের মানববন্ধনে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে আমাদের রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্যাহ মিয়া অভিযোগের বিষয়ে জানান, স্থানীয় জনবিছিন্ন কিছু লোক আমাকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি দলের নাম ব্যবহার করে জমি দখল তো দূরের কথা, কারও সঙ্গে কখনও খারাপ আচরণও করিনি। সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত