চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লাইনে উন্নীত করার দাবিতে কক্সবাজার শহরে কাফনের কাপড় গায়ে দিয়ে ১১ তরুণ-তরুণী পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম থেকে তারা ‘আমরা ১১ জন (নিহত)’ এর ব্যানার নিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছান। এ পদযাত্রা ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব থেকে শুরু করেন এই তরুণ-তরুণীরা।
গত ২ এপ্রিল চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার জাঙ্গালিয়ার ঢালা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতীকী হিসেবে তারা ১১ জন এই কর্মসূচি নেন বলে জানান তারা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে পৌঁছার পর তারা সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার বরাবরে ৬ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের হাতে তুলে দেন। আন্দোলনকারীদের প্রধান সমন্বয়ক সৌরভ প্রিয় পাল জানান, গত ২ এপ্রিল চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের অবয়ব ধারণ করে তারা কক্সবাজার অভিমূখে পদযাত্রা শুরু করেছিলেন। যাত্রাপথে তারা দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় মানববন্ধন ও গণসাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন।
তিনি জানান, এই সড়কটি দ্রুত ছয় লেনে উন্নীত করতে হবে। অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাড়ি চট্টগ্রামে। সুতরাং গুরুত্ব বিবেচনায় এই সড়কটি ছয় লেনে রূপান্তর করতে তিনি উদ্যোগ নেবেন বলে আমরা আশা করি।
এছাড়া কক্সবাজার থেকে সড়ক পথে ট্রাকে করে লবণ পরিবহন বন্ধ, মহাসড়কে অটো রিকশা, সিএনজি, নসিমনসহ তিন চাকার যানবাহন বন্ধ, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বড় স্টেশনগুলোতে বাইপাস সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশের তদারকি বাড়ানোর দাবি জানান তারা। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া অংশে ঈদুল ফিতরের প্রথম তিনদিনে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি।
