চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে বিক্ষোভ করেছেন রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ওই চিকিৎসককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পথে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্বজনরা জানান, দুপুরের দিকে সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মাকসুদুর রহমান নামে এক ব্যাক্তি স্ট্রোক করলে স্বজনরা তাকে জুমার নামাজের আগে হাসাতালে নিয়ে আসেন। ওই সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসা কর্মকর্তা নাইমুল হাসনাত রোগীকে চিকিৎসা না করে নামাজ পড়তে যাবেন বলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান। পরে নামাজ শেষের কিছুক্ষণ পর হাসপাতালে এসে রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসক রোগীকে সময়মতো চিকিৎসা দিলে মৃত্যু হতো না। ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাকসুদুর রহমান নামে ওই রোগীর মৃত্যুর খবর পেয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্বজন ও উপস্থিত জনতা হাসপাতালের সামনে চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ এসে তাদের শান্ত করে। এরপর বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ ওই চিকিৎসককে নিরাপদে হাসপাতাল থেকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিতে নিয়ে যাচ্ছিলো। হাসপাতালের ভবন থেকে বের হলে উত্তেজিত জনতা চিকিৎসককে হামলা চালিয়ে মারধর করে ও পুলিশের কাছ থেকে চিকিৎসককে ছিনিয়ে নেয়া চেষ্টা করে। পুলিশ দ্রুত গাড়ি নিয়ে চলে যায়।
ভোলা মডেল থানার ওসি আবু সাহাদাৎ হাসনাইন পারভেজ জানান, হাসপাতালে বিক্ষোভের খবর পেয়ে তারা চিকিৎসককে উত্তেজিত জনতার থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে তার বাড়িতে পৌঁছে দেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তম জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি আগামীকাল তদন্ত করবেন। যদি চিকিৎসকের অবহেলা প্রমাণিত হয় তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।