পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজি চালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মনোয়ারুল ইসলাম নামের এক বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার উপজেলার দাশুড়িয়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মনোয়ারুল উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের আবুল কালাম প্রামাণিকের ছেলে ও দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দাশুড়িয়া গোলচক্কর সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল করে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন প্রামাণিক এবং তার ভাই স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকু প্রামাণিকের বিরুদ্ধে। এনিয়ে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদল নেতা বিপুল মোল্লার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জেরে এবং এক লেগুনা আর সিএনজি ড্রাইভারদের বিরোধকে কেন্দ্র করে গত গত শুক্রবার দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে কয়েকজন আহত হোন। এই ঘটনার জেরে গতকাল আবারও সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। এতে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হোন। তাকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অনতি হলে মনোয়ারুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এঘটনায় এখনো সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার দুই সিএনজি ড্রাইভারের ঝামেলা নিয়ে রকু প্রামানিকের সঙ্গে বিপুল মোল্লার মারামারি ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার রেসে আজকে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি, পরে বিস্তারিত বলা যাবে। এই মুহূর্তে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে, সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেও রকু প্রামাণিক এবং বিপুল মোল্লার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তারা উভয়ই পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, গত পরশু দিন শুক্রবার লেগুনা আর সিএনজি ড্রাইভারদের নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল, সেই ঝামেলা সমাধান করতে গিয়ে তাদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সেই ঝামেলা মিটমাট করেও দিয়েছিলাম। কিন্তু আজকে আবার এই ঘটনা ঘটে গেল। এখন প্রশাসনের মাধ্যমে এই ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
