ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

যমুনায় অসময়ে ভাঙন বিলীনের মুখে জমি স্থাপনা

যমুনায় অসময়ে ভাঙন বিলীনের মুখে জমি স্থাপনা

পাবনায় অসময়ে যমুনা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে কবরস্থান, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুলসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি। জেলার বেড়া উপজেলায় গত দুই মাস ধরে যমুনা নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকায় নদীপাড়ের বাসিন্দারা দুশ্চিন্তায় দিশেহারা পড়েছেন। এদিকে বেড়া পানি উন্ননয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে। সরেজিমিনে দেখা গেছে, বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের নেওলাইপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে যমুনা নদী। চরাঞ্চলের গ্রামটিতে এবার অসময়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে নদীতে। শুধু নেওলাইপাড়া গ্রামই নয়, পার্শ্ববর্তী নতুন বাটিয়াখড়া ও মরিচাপাড়া গ্রামেরও একই চিত্র। যমুনা নদীর তীরবর্তী তিনটি গ্রামে প্রায় এক হাজার পরিবারের বসবাস। এর আগে বিগত দুই বছরে প্রায় পাঁচশ’ পরিবার নদী ভাঙনে হারিয়েছে বসতভিটা। নদীতে বিলীন হয়েছে প্রায় এক হাজার বিঘা আবাদি জমি।

এ বছর বর্ষা মৌসুমের অনেক আগেই যমুনা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে নদীপাড়ের বাসিন্দারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত দুই মাস ধরে অব্যাহত রয়েছে যমুনা নদীর ভাঙন। তীব্র স্রোতে গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় ভাঙছে নতুন চর। এতে দুশ্চিন্তায় দিশেহারা নদীপাড়ের বাসিন্দারা। তারা বলছেন, ধীরে ধীরে ভাঙন এগিয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ির দিকে। হুমকির মুখে পড়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও স্কুল। নদীপাড়ের বাসিন্দা নেওলাইপাড়া গ্রামের আব্দুস সালাম বলেন, নদী আগে অনেকদূর ছিল। ভাঙতে ভাঙতে কাছে চলে আসছে। নদীর স্রোতও ছিল অনেকদূরে। গতিপথ পরিবর্তন করে তীরবর্তী এলাকায় স্রোত হচ্ছে। ফলে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। একই এলাকার আকলিমা খাতুন ও সালেহা বেওয়া বলেন, এভাবে ভাঙতে থাকলে আমাদের বাড়িঘর সব নদীর পেটে চলে যাবে। সরকার থেকে কিছু একটা না করলে তো আমাদের সব শেষ হয়ে যাবে। ভাঙন ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।

বাটিয়াখড়া গ্রামের বাসিন্দা আফতাব উদ্দিন মোল্লা, শফিকুল ইসলাম, নেওলাইপাড়া গ্রামের আকতার হোসেন, মতিন শেখ বলেন, বিগত বছরগুলোতে নদীর পেটে এক হাজার বিঘার মতো জমি চলে গেছে। বসতভিটা হারিয়েছে ৫০০ পরিবারের মতো। একটি অসাধু চক্র নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বাধে বালু তোলার কারণে অসময়ে স্রোত দেখা দিয়েছে। এটা বন্ধ করা দরকার। পাবনা পানি উন্নবয়ন বোর্ড (পাউবো) এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কাজ করার অনুমতি চেয়ে নোট সিট প্রেরণ করেছি। মৌখিকভাবেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘গত সোমবার পুনরায় ভাঙন কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শনকালে ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কাজ বাস্তবায়নের জন্য অনুমতি পাওয়া গেছে। আমরা আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ করে দ্রুতই কাজ শুরু করবো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত