মাদারীপুর সদর হাসপাতাল থেকে ছয় মাসের এক শিশু চুরির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে হাসপাতালের ষষ্ঠ তলার শিশু ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, হাসপাতাল ও পরিবার সূত্র জানায়, তিন দিন আগে জামিলা আক্তার নামে দুই বছরের সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে যান সুমন মুন্সি ও তার স্ত্রী সুমি আক্তার। তাকে নিয়ে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে অবস্থান করছেন তারা। গতকাল শনিবার দুপুরে সুমি আক্তার হাসপাতালে বসে বড় মেয়ে জান্নাতকে খাওয়াচ্ছিলেন। এসময় গোলাপি রঙের বোরকাপড়া এক নারী তার কোল থেকে আব্দুর রহমানকে কোলে তুলে নেন। ওই নারী আদর করতে করতে এক পর্যায় হাসপাতালের বারান্দায় নিয়ে যান। পরে মুহূর্তের মধ্যে আব্দুর রহমানকে নিয়ে তিনি পালিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
এদিকে হাসপাতালের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আব্দুর রহমানকে বোরকাপড়া এক নারী কোলে নিয়ে ইজিবাইকে করে হাসপাতাল থেকে চলে যাচ্ছেন।
শিশুটির মা সুমি আক্তার বলেন, আমার আদরের সন্তানকে কোলে নিয়ে এভাবে ওই নারী পালিয়ে যাবে বুঝতে পারিনি। চোখের পলকে এ ঘটনা ঘটেছে। আমি আমার সন্তানকে ফেরত চাই এবং অপরাধীর বিচার চাই। শিশুটির বাবা সুমন মুন্সি বলেন, আমি কাজে ছিলাম। ছেলেকে চুরি করে নিয়ে গেছে খবর পেয়ে হাসপাতালে আসি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাইনি। আমি আমার সন্তানকে ফেরত চাই। শিশুর আত্মীয় সাইদুর রহমান খান বলেন, হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাব। ফ্লোরের কোথায়ও কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। থাকলে খুব সহজে অপরাধীদের শনাক্ত করা যেত। শুধুমাত্র হাসপাতালের নিচতলায় সড়কে একটি ক্যামেরা আছে। সেখানে দেখা যায় বোরকাপড়া এক নারী ইজিবাইকে করে আব্দুর রহমানকে নিয়ে যাচ্ছেন। মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. নুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা বলেন, খবর পেয়েছি হাসপাতাল থেকে এক শিশু চুরি হয়েছে। সে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ হাতে এসেছে। এরমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এ চক্রে যে বা যারাই জড়িত আছে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।