ঢাকা সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা

নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা

নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সোনাগাজী উপজেলার কাজির হাট থেকে কেরামতিয়া সড়ক। ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হচ্ছে সোনাগাজীর মানচিত্র।

নোয়াখালীর মুছাপুর রেগুলেটর নদীতে বিলীন হওয়ার পর থেকে ছোট ফেনী নদীর কোম্পানীগঞ্জ ও সোনাগাজীর অংশে দুই তীরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। রাস্তা ও কয়েকশ’ বসতভিটাও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনের কারণে হুমকিতে রয়েছে শত শত বাড়িঘর। নদীভাঙন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বিস্তীর্ণ জনপদসহ অনেক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী। স্থানীয় লোকজন জানান, নোয়াখালী ও ফেনীর সীমান্তবর্তী মুছাপুর এলাকায় রেগুলেটর না থাকায় জোয়ারের তোড়ে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়া, চরদরবেশ, বগাদানা ও চর মজলিশপুর ইউনিয়নের ছোট ফেনী নদী তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন রোধে ভিটেমাটি ছাড়া মানুষগুলো কিছুই করতে পারছেন না। চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন খোকন বলেন, মুছাপুর ক্লোজার ভেঙে যাওয়ার কারণে নদীভাঙন প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত চরচান্দিয়া ইউনিয়নসহ চরদরবেশ, চরমজলিশপুর এবং বগাদানা এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে মানুষের কষ্টের সীমা থাকবে না। চরদরবেশ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, মুছাপুর ক্লোজার ভেঙে যাওয়ার কারণে আমাদের চরদরবেশ এলাকার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ তীব্র ভাঙনের শিকার হচ্ছেন। ভিটেমাটি ছাড়া অসহায় মানুষের দুঃখ দুর্দশার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সরকার মুছাপুর ক্লোজার দ্রুত নির্মাণ না করলে চরদরবেশ ও চরমজলিশপুর ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত