জামালপুর সদরের মেষ্টাতে মোজাম্মেল হক হত্যা মামলার ৩১ বছর পর একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে খালাসের আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আবু বকর ছিদ্দিক এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত হাফিজুর রহমান সরিষাবাড়ি উপজেলার ঢুরিয়াভিটা গ্রামের মৃত রুহুল আমীনের সন্তান। এছাড়াও তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
মামলায় খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- সরিষাবাড়ী থানার গোবিন্দ নগর (বয়রা) গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মাস্তাফিজুর রহমান ওরফে আজাদ, পাখাডুবি গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে গোলাম রব্বানী ওরফে রব্বানী, জসীম উদ্দিনের সন্তান ওমর আলী ও জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া দেওয়ানীপাড়া গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে শওকত আলী।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত পি.পি আইনজীবী একেএম নাজমুল হুদা জানান, প্রধান আসামি হাফিজুর রহমান ও নিহত মোজাম্মেল হক বাল্য বন্ধু। ১৯৯৩ সালের ২৩ মে বিকালে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে মোজাম্মেল হককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান হাফিজুর রহমান। এরপর আর বাড়ি ফিরেননি মোজাম্মেল হক। পরদিন ২৪ মে মেষ্টা ইউনিয়নের হাসিল পারিল গৌরিপুর গ্রামে কাঁচা রাস্তার ওপর মোজাম্মেল হকের রক্তাক্ত ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাওয়া লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর দাফন করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ২৮ মে নিহত মোজাম্মেল হকের বড় ভাই শাহজাহান ছবি দেখে তার ভাইকে শনাক্ত করার পর জামালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।