চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এসএসসির গণিত বিষয় খারাপ হওয়ায় পরীক্ষা শেষে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করেছে পরীক্ষার্থীরা। গতকাল উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর কেন্দ্রে গণিত পরীক্ষা শেষে রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ভাংচুর ও বলাখাল-রামপুর সড়ক অবরোধের এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়ভাবে জানাগেছে, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সকাল ১০টার থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় কঠোর নজরদারি থাকায় অভিযোগ এনে পরীক্ষা শেষে উপজেলার রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এরপর পরীক্ষার্থীরা বলাখাল-রামপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে এবং রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটক ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় কেন্দ্র সচিবসহ শিক্ষকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোতাহের হোসেন জানান, পরীক্ষার্থীরা আমার বিদ্যালয়ের বেশ কিছু চেয়ার-টেবিল ও গ্লাসসহ (আয়না) অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি এবং পরবর্তীতে লিখিতভাবে অবহিত করবো।
এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হাজীগঞ্জ-৬ এর কেন্দ্র সচিব ও রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কবির হোসেন সরকার বলেন, রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মৈশাইদ, বোরখাল উচ্চ বিদ্যালয় ও আল-বান্না মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে পরীক্ষা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আজকে নিয়মিত ও অনিয়মিতসহ ২৫৪ জন গণিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হৈ-হুল্লুর শুরু করে। হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, যেহেতু পরীক্ষা চলমান এবং পরীক্ষার্থীরা অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাই অভিভাবকদের অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।