পাবনার ঈশ্বরদীতে তীব্র গরম ও তাপপ্রবাহের কাঠ ফাটা রোদ যেন আগুনের ফুলকি মনে হচ্ছে।
গতকাল বুধবার ঈশ্বরদীতে বিকেল ৩টায় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস। এতে গরমের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে। তীব্র গরমে মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে।
দাবদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। কেননা, চাইলেই গরমে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ নেই তাদের। জীবিকার তাগিদে এই তীব্র গরমের মধ্যেও কষ্ট করতে হচ্ছে এরপরও গরমের কারণে কমেছে তাদের আয়ও। এ ছাড়া তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা প্রাণিকুলের। আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, ঈশ্বরদীতে মাঝারি তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে গরম ও আর্দ্রতার সংমিশ্রণে বেড়ে গেছে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা। এ অবস্থায় শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থদের সতর্ক থাকতে এবং যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
ঈশ্বরদী পৌর শহরের মনির প্লাজা মার্কেটের ব্যবসায়ী আলতাপ হোসেন বলেন, ‘তাপপ্রবাহের কারণে বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম। যে কারণে বেচাকেনায় প্রভাব পড়েছে। গত কয়েক দিন তাপদাহ হলেও প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
রেলগেটে তবিবর নামে এক রিকশাচালক বলেন, মনে হচ্ছে আগুন উড়ছে। রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে,। তবুও জীবিকার তাগিদে বের হতে হচ্ছে। পিচের তাপের আঁচ মুখে লাগতেই মনে হচ্ছে মুখ পুড়ে যাচ্ছে।
আরেক রিকশাচালক সাদেকুল ইসলাম বলেন, গরমের ঠেলায় শহরের লোকজন কম। এজন্য রিকশার ভাড়া নেই। রিকশা না চালালে খামো কী? গরম নাগলেও কামাই করা লাগবে।