সাতক্ষীরায় ট্রাকভর্তি প্রায় ৪ টন অপরিপক্ব আম জব্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় শহরের বাইপাস এলাকা থেকে সদর থানা পুলিশ উক্ত আমগুলো জব্দ করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো ১০ ক্যারেট অপরিপক্ব গোবিন্দভোগ আম গাড়ির চাকায় ফেলে বিনষ্ট করা হয়। এছাড়া ১৬০ ক্যারেট আম যাতে কোনো রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো নেই, সেগুলো রাতেই ৪৫ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। তবে, এসময় পুলিশ কোন অসাধু চক্রকে আটক করতে সক্ষম হননি।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ, সদর থানার ওসি শামিনুল হক, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল ইসলামসহ পুলিশের একটি টিম।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক ও সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরা থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো অপরিপক্ব আম ট্রাক ভর্তি করে রাজধানী ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশের একটি টিম শহরের বাইপাস এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় সেখান থেকে ট্রাকভর্তি প্লাস্টিকের ১৭০টি ক্যারেটে থাকা প্রায় ৪ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ ও হিমসাগর আম জব্দ করা হয়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জব্দ আমের মধ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকানো ১০ ক্যারেট (প্রায় ২৩০ কেজি) অপরিপক্ব আম সাতক্ষীরা পৌরসভার মধ্যে জনসম্মুখে গাড়ির চাকায় ফেলে বিনষ্ট করা হয়। এছাড়া ১৬০ ক্যারেট (প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কেজি) আম যাতে কোন রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো নেই, সেগুলো ৪৫ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।
তারা আরো জানান, সাতক্ষীরার আমের দেশব্যাপী সুনাম রয়েছে। কিন্তু একটি অসাধু চক্র রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে অপরিপক্ক আম পাকিয়ে তা বাজারজাত করার চেষ্টা করছে। জেলার আমের সুনাম রক্ষায় এবং ভেজাল খাদ্য বাজারে বিক্রি করতে না পারে সেজন্য এ অভিযান অব্যহত থাকবে। এছাড়া জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত ক্যালেন্ডারের তারিখের আগে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত না করার জন্য বলা হয়েছে। তবে আমে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।