নতুন বছর শুরু হলো। আজ ২০২৩ সালের দ্বিতীয় দিন। এক সময় এই বছরটিও শেষ হবে। আসবে আরেক নতুন বছর ২০২৪। এভাবেই চলতে থাকবে। এটাই নিয়ম। এই নিয়মের কোনো ব্যতিক্রম নেই। কেউ ব্যতিক্রম তৈরিও করতে পারবে না। এই নিয়মের কাছে অময়া সবাই বাঁধা। এই বন্ধন থেকে ছুটে আসার কোনো সুযোগ নেই। এ নিয়মকেই মেনে নিতে হয়। বছর যাবে, বছর আসবে। যেটা যাবে সেটা আর ফিরবে না। কেউ ফেরাতেও পারবে না। আমরা যেটুকু পারি তা হলো, বছরগুলোকে সাফল্যের সঙ্গে সাজানো। ব্যর্থতা দূরে ঠেলে সাফল্যের পাল্লা ভারি করতে পারি। আশার কথা, আমরা তেমনটিই করছি। করতে পারছি। নানা দিক থেকে বাধা আসছে, তবুও আমরা পেছনে হাঁটছি না, সামনের দিকেই এগোচ্ছি। আর এই এগোনো সম্ভব হচ্ছে বর্তমান ক্ষমতায় থাকা সরকারের কারণে। নতুন বছরের শপথ, আমরা আরও এগিয়ে যাব, কোনো বাধা মানব না।
একটি দেশের সরকার সেই দেশের অভিভাবক। এটাই দেশপ্রেম। কোনো সরকার তার নিজের দেশের এবং দেশের মানুষের কথা না ভেবে কোনো বিদেশি প্রভুর কথায় দেশ পরিচালনা করে তাদের খুশি করতে চাইলে সেখানে কোনো দেশপ্রেম থাকে না। তারা দেশের শত্রু। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের দেশে তেমন সরকারও ছিল। আশার কথা, দেশপ্রেমিক জনগণ তাদের হটিয়ে স্বাধীনতার পক্ষশক্তিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়েছে। বর্তমানে তারাই ক্ষমতায় আছে। এ জন্যই দেশের সার্বিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। একটা দেশপ্রেমিক সরকার দেশের জন্য যা কিছু করা দরকার, তার সব কিছুই করেছে এই সরকার এবং যতদিন ক্ষমতায় থাকবে দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করে যাবে বলে সবাই বিশ্বাস করে। জনগণ যা বিশ্বাস করে, সরকার তার মর্যাদা দেয়। এই সমন্বয় যতদিন থাকবে, ততদিন সরকার ও জনগণের মধ্যে কোনো সম্পর্কের অবনতি হতে পারে না। এই অব্যাহত সম্পর্কের কারণেই বিরুদ্ধবাদীদের গাত্রদাহ। এর প্রভাব পড়ছে রাজনীতিতে। তথাকথিত বিরোধী দল পাগল হয়ে গেছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের জন্য। এই ক্ষমতা যে ভোটের মাধ্যমে দখল করবে, তা নয়। বিশেষ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে তারা। এর ফলেই সুষ্ঠু রাজনীতি স্থায়ী হচ্ছে না। আর গণতান্ত্রিক দেশে সুষ্ঠু রাজনীতি স্থায়ী না হলে, সেই দেশে পুরোপুরি শান্তি আসে না। আশার কথা, বাংলাদেশের জনগণ কোনো অস্থির রাজনীতি পছন্দ করে না। আর এ জন্যই বিরোধীদের আন্দোলনে সাধারণ মানুষ সম্পৃক্ত হতে পারছে না। ফলে বিরোধীরা একের পর এক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েই যাচ্ছে।
যা হোক, ইংরেজি নববর্ষকে আমরা স্বাগত জানিয়ে কামনা করি, এই নববর্ষে দেশে গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হোক, বিরোধীরা দেশের ও জনগণের কথা ভেবে সুষ্ঠু রাজনীতিতে ফিরে আসুক, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা বদল হোক, দেশের উন্নতি অব্যাহত থাকুক। একের পর এক অর্জনে তৃপ্ত হোক দেশ ও দেশের জনগণ। আমরা এও কামনা করি যে, বিরোধীরা এ যাবত যে কর্মকাণ্ড চালিয়ে এসেছে, তাতে যে কোনো লাভ হয়নি, তা উপলব্ধি করতে পারুক এবং যাতে তাদের দল টিকে থাকে এবং জনগণের সমর্থনে সামনের দিকে এগোতে পারে। আমাদের বিশ্বাস, নতুন বছরে বিরোধীরা নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করে দেশের সেবায় এগিয়ে আসবে।