২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবানের কাছে রাজধানী কাবুলের পতন হয়। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের হাতে যায়। তারা এরই মধ্যে দেশটিতে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে। আফগানিস্তান তালেবানের দখলে যাওয়ার আগে থেকেই দেশটির ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিল, যা দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেক। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, খরা, নগদ অর্থের স্বল্পতা ও খাদ্যের অভাবের কারণে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পশ্চিমা সমর্থিত আফগান সরকারের পতনের আগে দেশটি কয়েকশ’ কোটি ডলার বিদেশি সহায়তা পেয়ে আসছিল। কিন্তু তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর সেই সহায়তা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন কর্মসূচির ওপর চাপ বেড়েছে। তালেবান দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর পরই মেয়েদের হাইস্কুলে যাওয়া বন্ধ করে তারা। এবার বন্ধ করে দিল নারীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ। মাত্র তিন মাস আগে আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়। সে সময় নারীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। তবে ওই সময় জানিয়ে দেয়া হয়, নারীরা উদ্ভিদবিদ্যা, ইঞ্জিনিয়ারিং, অর্থনীতি এবং কৃষি বিষয় নিয়ে উচ্চ শিক্ষা নিতে পারবে না। আর বিশেষভাবে জানিয়ে দেয়া হয়, কোনো নারী সাংবাদিকতা পড়ার সুযোগ পাবে না। গত বছর ক্ষমতা দখলের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদ শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করে তালেবান। এছাড়া নারী শিক্ষার্থীদের শুধু নারী ও বৃদ্ধ প্রফেসররা লেকচার দিতে পারবেন এমন নিয়ম জারি করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ও শিক্ষা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আফগানিস্তানে তালেবান শাসন কায়েম হবার পর থেকে দেশটির শাসনতন্ত্রে বেশকিছু পরিবর্তন এনেছেন ক্ষমতাসীনরা। এরমধ্যে সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন থেকে আর কোনো নারী শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে না বলে ঘোষণা জারি করেছে তালেবান শাসক। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ ফের হাতে তুলে নেয়ার পর থেকে তালেবান কর্তৃপক্ষ মহিলা ও মেয়েরা কোথায় কোথায় যেতে পারবেন তা কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে নারীদের জানানো হয়েছে যে তারা পুরুষ অভিভাবক ছাড়া কর্মক্ষেত্রে বা অন্য কোথাও যেতে পারবেন না। গত তিন মাস ১২ বছরের বেশি বয়সি মেয়েদের স্কুলে যেতে দেয়া হয়নি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মহিলা ও পুরুষদের বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার ফলে মাধ্যমিক-উত্তর প্রতিষ্ঠানগুােলতে মেয়েদের যোগ দেয়ার সুযোগ নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়েছে? মিডিয়া ও বিনোদন ক্ষেত্রসহ কাজের অনেক জায়গা থেকে মহিলাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। আফগানিস্তানে মহিলা ও মেয়েদের জন্য দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার জন্য অক্টোবরে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তালেবানের কড়া নিন্দা করেছিলেন। আফগানরা একটি কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করছে। বেশিরভাগ সরকারি বিভাগ নির্মূল হয়ে গেছে এবং বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক দাতারা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেছে, যার ফলে সমাজের বিপুল সংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠীকে তাদের চাকরি হারাতে হয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষিত যুবক তাদের পরিবারের জন্য কঠোর পরিশ্রমে নিযুক্ত ছিল। যেসব মহিলা ও মেয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক স্তরে সরকারি দপ্তর এবং সংস্থাগুলোর সঙ্গে ক্ষুদ্র কর্মসংস্থানের সুযোগগুলো সুরক্ষিত করতে সক্ষম হয়েছিল, তারাও তাদের চাকরি এবং আয়ের উৎস হারিয়েছে, বেশিরভাগ দাতার সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানবাধিকার এবং টেকসই অর্থনীতি প্রোগ্রাম ও কার্যক্রম আফগানিস্তানে বন্ধ ছিল।
আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত প্রদেশে কাজের সুযোগ এবং মানবিক সেবায় নারী ও মেয়েদের অসম প্রবেশাধিকার, মানবিক সহায়তা প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের সঙ্গে ডিফ্যাক্টো কর্তৃপক্ষের বিভাগ এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং এনজিও এবং দাতাদের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য একটি সুস্পষ্ট ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। দেশের অধিকাংশ প্রদেশে মানবিক কর্মসূচিতে বিঘ্নিত ও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জনগণ এখন তাদের সবচেয়ে খারাপ আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে।
নেতৃত্ব গত ২০ বছরে কার্যকরভাবে তার আর্থিক সংস্থান পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে, যাতে জনগণ আজ এই গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের সাক্ষী না হয়। বিশ্ব পরিবর্তিত হচ্ছে, বেশিরভাগ দেশ তাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক সংস্থানগুলো পরিচালনা করার চেষ্টা করছে; কিন্তু বিশ্বের এই অংশে আফগানিস্তানকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়, আফগানিস্তানে শিক্ষকদের একটি জীবিকা প্রয়োজন এবং মেয়েদের মানবিক সহায়তা এবং মানবাধিকার প্রয়োজন। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য প্রত্যাহার শুরুর আগেই ৫০ শতাংশ আফগান চরম সংকটে ছিলেন। কয়েক দশকের সংঘাত, আগ্রাসন এবং দখলদারিত্ব আফগানিস্তানকে একটি অনিশ্চিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে নিয়ে গেছে। বর্তমান মানবিক সংকটের জন্য খরা, মহামারি দায়ী হলেও এর মূল কারণ বিপর্যস্ত অর্থনীতি। দেশটির পুরো ব্যাংকিং খাত ভেঙে পড়েছে। সরকারি কর্মীদের বেতন দেয়া যাচ্ছে না, নাগরিকরা ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারছেন না বা বিদেশি স্বজনদের কাছ থেকেও টাকা নিতে পারছেন না। দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন। ১০ লাখ শিশু এতটাই অপুষ্টিতে ভুগছে যে, তারা আগামী মাসে প্রাণ হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। অনেক গণমাধ্যমই এই সংকটের জন্য তালেবানকে দোষ দিয়ে বলছে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার বাইরে অন্য চাকরিতে নারীর ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির অর্থনীতিতে অবদান রাখা জিডিপির পাঁচ শতাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তবে বাস্তবিক বিষয় হলো- এর থেকে সংকটের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী তালেবানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। গত ২০ বছরের মার্কিন দখলদারিত্ব আফগানিস্তানকে জিডিপির ৪০ শতাংশ এবং বাজেটের ৮০ শতাংশই ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভর করে রেখেছিল। আফগানিস্তান ছাড়ার পর যুক্তরাষ্ট্র তাদের ফেডারেল রিজার্ভের প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার জব্দ করে এবং মার্কিন ও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার কারণে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল আফগানিস্তানের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে সংকুচিত হয়ে যায়। আফগানিস্তানে কাজ করা সাবেক মার্কিন সামরিক কমান্ডার, কয়েক ডজন কংগ্রেস সদস্যের অনুরোধ সত্ত্বেও বাইডেন প্রশাসন নীতি থেকে সরেনি। তারা বলছে, এটি তালেবানের শাস্তি; কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞাগুলো দেশটির লাখ লাখ বেসামরিক মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। আরআইডব্লিউআই সমীক্ষার ডেটা আফগানিস্তানের মানুষ ও আফগান শরণার্থীদের কাছ থেকে আগেই যা জানা যাচ্ছিল, সেই তথ্যগুলোই আবার জোরালোভাবে সামনে নিয়ে এল এবং তা থেকে স্পষ্ট সে দেশে নারী ও মেয়েদের জন্য পরিবেশ ক্রমেই আরও বেশি করে প্রতিকূল হচ্ছে। তাদের অধিকার খর্ব করা এবং সুযোগ দিতে অস্বীকার করার ঘটনা ঘটছে একটি পুরোদস্তুর মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে। এ এমন এক সংকট যার প্রভাব অনেক বেশি করে পড়ে নারীদের ওপর। আফগানিস্তানের প্রায় অর্ধেক মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং পাহাড়ি দেশটিতে শীতের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। নিঃস্ব পরিবারগুলোকে দারিদ্র্য বাধ্য করছে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দিতে। উদ্বেগজনক ঘটনা হলো আরআইডব্লিউআই সমীক্ষার উত্তরদাতাদের ১০ জনের মধ্যে ৭ জন বলেছেন তালেবানের কারণে তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং অর্ধেকেরও বেশি বলেছেন, তারা তালেবানের কাজকর্মের কারণে ঘরবাড়ি ছেড়েছেন বা ছাড়ার চেষ্টা করেছেন।
এই সমীক্ষার ফলাফলগুলো একথা স্পষ্ট করে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আরও অনেক বেশি করে প্রতিক্রিয়া না জানালে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে, আর সেখানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে মেয়ে ও মহিলাদের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও তাদের মিত্রদের অবশ্যই অবিলম্বে মানবিক সহায়তা বাড়াতে হবে, সে দেশের ভেঙে পড়তে চলা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার পতন রোধ করতে হবে এবং তালেবান নেতাদের ক্রমাগত চাপ দিতে হবে মেয়ে ও মহিলাদের শিক্ষার সুযোগ পাওয়ার এবং শ্রমবাজার ও নাগরিক জীবনে অংশগ্রহণের অধিকারসহ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো রক্ষা করার জন্য। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও অন্তর্দৃষ্টি পেতে টরন্টোভিত্তিক গ্লোবাল ডেটা কালেকশন সংস্থা আরআইডব্লিউআই আফগানিস্তানের মানুষের কাছ থেকে তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করে এবং পরিচয় গোপন রেখে রিয়েল-টাইম সেন্টিমেন্ট ডেটা সংগ্রহ করে একটি গবেষণা শুরু করেছে। সংস্থাটি ২৭ আগস্ট থেকে ১ নভেম্বর, ২০২১-এর মধ্যে ১৫ বছরের বেশি বয়সি ১২,০০০ জনেরও বেশি মানুষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে র্যান্ডম ডোমেন ইন্টারসেপ্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। এই প্রযুক্তি এ বিষয়টি নিশ্চিত করে যে ইন্টারনেট সার্ফিং করা যে কেউ নিজের ডিভাইসের ধরন নির্বিশেষে সমীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। আফগানিস্তানের ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষের ইন্টারনেট সংযোগ আছে। স্কুলে পড়ার বয়সি মেয়ে রয়েছে, এমন যেসব পরিবার সমীক্ষায় অংশ নিয়েছে তাদের দুই-পঞ্চমাংশেরও বেশি জানিয়েছে যে, সেই মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে না। এর মধ্যে ৪১ শতাংশ বলেছে, তাদের এলাকায় মেয়ে ও মহিলাদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি এবং আরও ২৯ শতাংশ বলেছে, মেয়ে ও মহিলাদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হলেও তাদের জন্য তা নিরাপদ ছিল না। তালেবান আবার ক্ষমতায় আসার আগেই দেশের গ্রামীণ এলাকায় বাল্যবিবাহের বিপদ ছিল, আর এখন তালেবান কিশোরী মেয়েদের স্কুলে যেতে বাধা দেয়ায় সেই বিপদ আরও বাড়ছে।
৬০ শতাংশেরও বেশি উত্তরদাতা জানিয়েছেন যে, মহিলারা তাদের এলাকায় নিরাপদে কাজ করতে পারছেন না এবং তাদের ৬৩ শতাংশ বিশ্বাস করেন যে অদূর ভবিষ্যতেও অবস্থা তাদের জন্য বিপদ সঙ্কুলই থাকবে। আফগানিস্তানে মেয়েদের জন্য স্কুল খোলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বন্ধ করে দিয়েছিল তালেবান। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পাল্টা বিবৃতি দিল জাতিসংঘ। এমন ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, দেশের প্রত্যেক শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষার অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে তালেবানকে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট জানিয়েছেন, তালেবানের এই সিদ্ধান্তের কারণে বহু আফগান কিশোরীর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে। দেশের উন্নতিতে নারীদের ভূমিকাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আফগান মহিলাদের সম্মান করা উচিত বলেও জানিয়েছেন মিশেল। আফগানিস্তানের সব মানুষ যেন শান্তিপূর্ণ এবং সচ্ছল ভবিষ্যৎ পায়। সেই জন্যই তালেবানের উচিত পুরুষ ও মহিলা নির্বিশেষে সব ছাত্রছাত্রীদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করা। আফগানিস্তানে মাধ্যমিক স্কুলগুলো বন্ধ করে দেয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। ছেলে এবং মেয়ে উভয়েরই স্কুলে যোগদান করা দরকার। দেশের সার্বিক উন্নতির জন্য মেয়েদের শিক্ষা অপরিহার্য। তাই মেয়েদের স্কুল যাওয়া থেকে আটকে রাখা একেবারেই উচিত নয়। ২০১৮ সাল থেকে আফগানিস্তানে শিক্ষা প্রসারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে ইসিডব্লিউ। বিশেষত ছাত্রীরা যাতে যথাযথভাবে শিক্ষা লাভ করতে পারে এবং শিক্ষিকারা নিজেদের কাজ করতে পারেন, সেদিকে নজর রাখে জাতিসংঘের এ সংস্থা। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের মসনদে বসে তালেবান। যদিও ক্ষমতা দখলের পরে তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তারা প্রত্যেকের শিক্ষার অধিকার সুনিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। মাধ্যমিক স্কুল ফের বন্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এর মধ্যেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন আফগান মেয়েরা। জাতিসংঘের এমন প্রতিক্রিয়ার পরে তালেবান নিজেদের অবস্থান পালটায় কি-না, সেদিকেই তাকিয়ে আছে আফগানিস্তানের মেয়েরা।